বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাঁশের জমজমাট বাণিজ্যিক চাষ

  •    
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২১ ০৮:২৮

একবার জমিতে বাঁশ লাগালে ২০ বছরে আর জমিতে বাঁশ লাগানোর প্রয়োজন পড়ে না। বছর বছর শুধু বাঁশের ঝাড়ে মাটি দেয়া আর আগাছা পরিষ্কার করলেই চলে। ফলে একই জমি থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার বাঁশ বিক্রি করছেন চাষিরা।

মাদারীপুরে পরিত্যক্ত জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে বাঁশ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বাজারে বাঁশের ব্যাপক চাহিদা থাকায় চাষে ঝুঁকছেন তারা। ফলে প্রতিবছরই বাঁশ চাষে আবাদি জমির পরিমাণ বাড়ছে। আর বাঁশ কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। প্রতিটি বাঁশ দুই থেকে আড়াই শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাদারীপুরের বিভিন্ন হাট ও বাঁশবাগান থেকে বাঁশ কিনে নিচ্ছেন বরিশাল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা। বাঁশ বিক্রি করে চাষিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, ব্যবসায়ীরাও বেশ লাভের মুখ দেখছেন।

একবার জমিতে বাঁশ লাগালে ২০ বছরে আর জমিতে বাঁশ লাগানোর প্রয়োজন পড়ে না। বছর বছর শুধু বাঁশের ঝাড়ে মাটি দেয়া আর আগাছা পরিষ্কার করলেই চলে। ফলে একই জমি থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার বাঁশ বিক্রি করছেন চাষিরা।

একাধিক চাষির সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বাঁশ চাষের জন্য বিখ্যাত হওয়ায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার একটি ইউনিয়নের নামকরণ করা হয়েছে ‘বাঁশকান্দি’। এ ইউনিয়নে রয়েছে শত শত বাঁশের ঝাড়। আর এখানকার মানুষ বাঁশ চাষ করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাঁশ বিক্রি করে বেশ লাভবানও হচ্ছেন।

বাঁশকান্দি ইউনিয়নের মতোই মাদারীপুর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর, কালিকাপুর, দুধখালী, ধুরাইল, রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর, বদরপাশাসহ কম-বেশি প্রায় সব ইউনিয়নেই শুরু হয়েছে বাণিজ্যিকভাবে বাঁশ চাষ। তবে যেসব স্থানে বাঁশ চাষ করা হচ্ছে, সেখানে সাধারণত অন্য কোনো ফসল হয় না। ফলে পরিত্যক্ত জায়গায় গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিকভাবে বাঁশচাষ।

সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বাঁশচাষিরা জানান, পাঁচ কাঠা জমিতে বাঁশ চাষ করতে উত্তরখালী গ্রামের আক্তার খানের খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এ জমির বাঁশ বিক্রি করে প্রতিবছর লাখ টাকা আয় করেন তিনি।

ধুরাইল ইউনিয়নের খালাসীকান্দি গ্রামের খোকন হাওলাদার এক বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বাঁশ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। আগামীতে আরো বেশি জমিতে বাঁশ চাষ করতে চান তিনি।

মাদারীপুর জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাঁশে খরচ কম, লাভ বেশি। ফলে জেলার চারটি উপজেলার শত শত চাষি বাণিজ্যিকভাবে বাঁশচাষে ঝুঁকছেন। এটি চাষে সার বা নিড়ানি দিতে হয় না। হাট-বাজারে বাঁশের ব্যাপক চাহিদা। হাট-বাজারে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ভালো দামে বিক্রি করতে পারছেন চাষিরা।

মাদারীপুরের বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বরিশাল, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার বাঁশ ব্যবসায়ীরা উৎরাইল, ফরাজীরহাট, টেকেরহাট ও হবিগঞ্জহাট থেকে বাঁশ কিনছেন।

মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, জেলায় ১৭৭ হেক্টর জমিতে বাঁশের চাষ হচ্ছে। এখানে প্রায় ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫০০টি বাঁশ লাগানো হয়েছে। প্রতিটি বাঁশের মূল্য ২০০ টাকা করে ধরা হলে এর মূল্য হবে ৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

তিনি জানান, বাজারে প্রচুর পরিমাণে বাঁশের চাহিদা থাকায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। যারা বাঁশের বাগান করেছেন, তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। যার ফলে বাঁশের আবাদ আরও বাড়বে।

এ বিভাগের আরো খবর