কক্সবাজারের টেকনাফে তরুণীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় চাকমাপল্লিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ নারী-পুরুষ।
উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর কাটাখালী ওয়ার্ডে রোববার সন্ধ্যায় হামলা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে ১০ পুরুষ ও ৫ নারী রয়েছেন। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
পল্লির একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন কাটাখালী ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল সম্রাটসহ ২০ জন।
হামলার বিষয়টি স্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল জানান, বিচারে কথাকাটাকাটি নিয়ে কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে, তবে বৌদ্ধবিহারে হামলা হয়নি।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, রাতে কয়েকজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।
পল্লির বাসিন্দারা জানান, তরুণীকে উত্ত্যক্ত করেন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েলসহ কয়েকজন। এ নিয়ে চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজন প্রতিবাদ জানালে তাদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় তোফায়েলসহ অন্যদের।
তারা আরও জানান, কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তোফায়েলের নেতৃত্বে মারধর করা হয় চাকমাদের। তাদের বেশ কিছু বাড়িঘরে আগুনও দেয়া হয়।
অরণ্য বৌদ্ধবিহারের কর্মকর্তা অন্তর চাকমা অভিযোগ করেন, ওই ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল ও তার ভাই কায়সার সমাধানের জন্য যান। সেখানে কথাকাটাকাটি হলে একপর্যায়ে তারা বিহারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে চাকমা সম্প্রদায়ের কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘মূলত ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেটা বৌদ্ধবিহারের একটি অংশ। কারা অগ্নিসংযোগ করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে তোফায়েল ছাত্রলীগ নেতা নয় বলে দাবি করেছেন টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না।
তিনি বলেন, ‘যে তোফায়েলের কথা বলা হচ্ছে, তাকে আমি চিনি না। সে যে কমিটিতে রয়েছে, সেটি অবৈধ। হোয়াইক্যংয়ে গ্রুপিং আছে। তোফায়েলসহ যাদের নাম এসেছে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়।’