মুন্সীগঞ্জে টাকা না দেয়ায় লোক ডেকে এনে বাবাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।
মুন্সীগঞ্জ শহরের মানিকপুর এলাকায় রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, কিছুদিন ধরে রফিকুলের প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলে মো. ইমন দুই লাখ টাকার জন্য বাবাকে চাপ দিচ্ছিলেন। রফিকুল টাকা দিতে না চাইলে রোববার সন্ধ্যায় ইমন ছাত্রলীগ কর্মী নূর জামান বাঁধনসহ ১০ থেকে ১২ জনকে ডেকে আনেন। সে সময়ও তিনি টাকা দিতে না চাইলে বাঁধন রামদা দিয়ে রফিকুলের বাম হাতে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্বজনরা তাকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এন এস আলম প্রধান নিউজবাংলাকে জানান, রফিকুলের বাহু থেকে কবজি অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সামান্য অংশ যুক্ত আছে। অবস্থা বিবেচনায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বাঁধনের বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সাগর বলেন, ‘বাঁধন ছাত্রলীগের কেউ না। তার কোনো পদও নেই। নেতাদের ছবি দিয়ে পোস্টার করলেই ছাত্রলীগ হওয়া যায় না। সে যে কর্মকাণ্ড করেছে তার দায়ভার ছাত্রলীগ নেবে না। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। বাঁধন প্রকৃত অপরাধী হলে তার বিচার করা হোক।’
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সোহেল রানা বলেন, ‘বাঁধন মানিকপুর এলাকায় কিশোর গ্যাং তৈরি করেছে। এর আগেও তাকে ধরে থানায় দেয়া হয়েছিল। পরে ছাড়া পেয়ে যায়।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাঁধনের নামে আগেও থানায় সাধারণ ডায়েরি করা আছে।