চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলায় নিজের সংগঠনের নেতাকর্মীদের দোষ খুঁজে না পাওয়ার দাবি করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর। একই সঙ্গে এসব ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে বিচারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের ঘটনায় আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা খোঁজ নিয়ে ওই ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা পাইনি। পুলিশ তাদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে টাকা দাবি করেছে।’
রোববার রাজধানীর নয়া পল্টনে যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেন, ‘১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়ার দিঘী পাড়ের পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননা এবং পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় সরকার ও প্রশাসন এড়াতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে হামলা চেষ্টার ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত না করে ছয় মাস ধরে কারাগারে থাকা তিন বিএনপি কর্মীকে মামলার আসামি করা হয়েছে। ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের আট নেতাকর্মীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে টাকা দাবি করা হয়েছে। পরে মামলায় জড়িয়ে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে জবানবন্দি আদায় করেছে পুলিশ।’
নুর বলেন, ‘আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কেউ জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টায় জড়িত থাকলে সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
সাম্প্রদায়িক হামলা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। ওই কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে যথাযথ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন সাদ্দাম হোসেন, অ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা, প্রকৌশলী খোয়াই চিং মংচাক, মো. নিজাম উদ্দীন, ফাতেমা তাসনিম, আরিফুল ইসলাম তায়েফ এবং প্রাপ্ত বড়ুয়া।