ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর ছবি ও পোস্ট শেয়ার করায় গ্রেপ্তার কলেজ প্রভাষক মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কিশোরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক এ এস এম আনিসুল ইসলাম রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ আদেশ দেন।
এর আগে রুহুল আমিন আদালতে জামিন আবেদন করেন। তবে বিচারক শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শিক্ষক রুহুল আমিন হোসেনপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক। তার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কড়াইকান্দি গ্রামে। তিনি কিশোরগঞ্জ শহরের হয়বতনগর ফিসারি সড়কে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক হাম্মাদ।
এর আগে শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বর থেকে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া পারভেজ নিউজবাংলাকে জানান, ‘২৩ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে একজন সাংবাদিক আমার ব্যক্তিগত মেসেঞ্জারে ফেসবুক পোস্টের একটি স্ক্রিনশট পাঠান। তাতে দেখি রুহুল আমিন নিজ ফেসবুক আইডি থেকে গত ১৪ অক্টোবর একটি পোস্ট শেয়ার করেন। সেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়া। বিষয়টি ধর্মীয় স্পর্শকাতরও বটে।
‘পরে আমি কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে ফোনে কথা বলি। তারপর আমি নিজেই হোসেনপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পরে শনিবার রাতেই তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা নেয় পুলিশ।’
ওসি মোস্তাফিজুর জানান, রুহুল আমিন নিজের প্রোফাইলে পোস্ট শেয়ারের পর সেখান থেকেই এটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতেই পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করে। মামলার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।