বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পেঁয়াজ নিয়ে অস্বস্তিতে বাণিজ্যমন্ত্রী

  •    
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:২৭

পেঁয়াজ নিয়ে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে রয়েছেন জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘পেঁয়াজ উৎপাদনে আমাদের ঘাটতি আছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম উৎপাদন হচ্ছে। ফলে আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করতে হচ্ছে। সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে।’

সংকটকালে ফলন পাওয়া যায় এমন জাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবনে জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

দেশে গত কয়েক বছরে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়লেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও আমদানি করি, এটা থেকে বের হতে সংরক্ষণে জোর দিতে হবে।’

আগামী তিন বছরের মধ্যেই পেঁয়াজ উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পন্ন হবে বলেও প্রত্যাশা করেন মন্ত্রী।

‘বাংলাদেশের ৫০ বছর: কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক কৃষি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় দৈনিক বণিক বার্তা এবং বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) যৌথভাবে সম্মেলনটির আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

পেঁয়াজ নিয়ে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে রয়েছেন জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘পেঁয়াজের জ্বালায় আমি অস্থির হয়ে পড়েছি। পরিসংখ্যানের একটা ঝামেলা আছে। আমাদের প্রয়োজন ২৪-২৫ লাখ টন পেঁয়াজ। উৎপাদনও হয় ২৫-২৬ লাখ টন। তাহলে আমদানি কেন? এমন প্রশ্ন আসে। সে ক্ষেত্রে বক্তব্য হচ্ছে, প্রায় ২০ শতাংশ পেঁয়াজ আমাদের নষ্ট হয়। সংরক্ষণ করা যায় না।

‘পেঁয়াজ উৎপাদনে আমাদের ঘাটতি আছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম উৎপাদন হচ্ছে। ফলে আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করতে হচ্ছে। সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ‘সারা বছর উৎপাদনের জন্য পেঁয়াজের নতুন জাত উদ্ভাবন, উৎপাদিত পেঁয়াজ যাতে নষ্ট না হয় এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়, এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সময়ে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দেয়, এই সময়ের জন্য নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন বলে জেনেছি। হয়তো কিছুদিনের মধ্যে আর সংকট থাকবে না। আর তিন-চার বছর হয়তো লাগবে।’

দেশে কৃষির অগ্রগতি তুলে ধরে টিপু মুনশি বলেন, ‘কৃষিক্ষেত্রে আমরা অনেক এগিয়েছি। সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় আধুনিকায়নে সমর্থ হওয়ার কারণেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। যা আমাদের উৎসাহিত করেছে। এতে আমরা বেশ সফলও হয়েছি।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাণিসম্পদে আমরা এখন স্বয়ংসম্পন্ন। একসময় দেশের কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো, আজ চাহিদার বেশি পশু আমরা উৎপাদন করছি।

‘এখন বাংলাদেশ মাংস রপ্তানির চেষ্টা করছে। মৎস্য চাষে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয়। দেশে মৎস্য চাষে বিপ্লব ঘটেছে। বাংলাদেশ প্রতিবছর মাছ রপ্তানি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার প্রতিটি সেক্টরে স্বয়ংসম্পন্ন হতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।’

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, কৃষি সেক্টরে বাণিজ্যিকীকরণে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ, ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। খাদ্য উৎপাদন অনেক বেড়েছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে সফল হয়েছি আমরা। অনেক দেশের তুলনায় এখনও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। তবে এখনও কৃষি খাতে উৎপাদন বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ আছে।’

তিনি বলেন, ‘উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার ও নতুন জাত আবিষ্কারের মাধ্যমে আমাদের অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকার নীতিগত ও কারিগরি সহায়তা বৃদ্ধি করেছে।’

ভবিষ্যতে এ ধরনের সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।

অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্স ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম, মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ, লাল তীর লাইভস্টকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু লুৎফে ফজলে রহিম খানসহ অন্যরা।

এ বিভাগের আরো খবর