বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিসেম্বরের মধ্যে ড্যাপ গেজেট: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

  •    
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:০১

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে ড্যাপ চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আশাবাদী, কারণ এর মধ্যে আমরা অনেক কাজ করে ফেলেছি। দাপ্তরিক অনেক কাজও শেষ হয়েছে। খসড়াও করা হয়েছে। জেনেশুনেই এই সময় দেয়া হয়েছে।’

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রাজধানী ঢাকার ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে ড্যাপ চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আশাবাদী, কারণ এর মধ্যে আমরা অনেক কাজ করে ফেলেছি। দাপ্তরিক অনেক কাজও শেষ হয়েছে। খসড়াও করা হয়েছে। জেনেশুনেই এই সময় দেয়া হয়েছে।’

রোববার সচিবালয়ে ড্যাপ প্রণয়ন বিষয়ক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ১৩ নভেম্বর একটি জাতীয় কর্মশালা হবে। এরপর দাপ্তরিক কাজ শেষ করে ড্যাপের গেজেট প্রকাশ করব। ইন্ডাস্ট্রি করার জন্য অনেকে সমস্যা মোকাবিলা করছে। কোনটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা আর কোনটা আবাসিক এলাকা সেটি সার্টিফাইড না হওয়ায় কিছু কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি। গেজেট হওয়ার পর এসব চ্যালেঞ্জ আর থাকবে না।’

ড্যাপ প্রণয়নের জন্য ঢাকার সীমানা বাড়ানোরও কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

রাজধানীকে বাসযোগ্য করতে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রণয়ন করছে সরকার। এরই মধ্যে এর একটি খসড়াও করা হয়েছে। খসড়ায় রাজধানীর প্রায় ৯৪ হাজার ৫৮ দশমিক ৪২ হেক্টর জমি নগর এলাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর মধ্যে আবাসিক এলাকা হিসেবে ১৯ হাজার ৪৫৭ দশমিক ৬৭ একর, আবাসিক প্রধান মিশ্র ব্যবহার এলাকা এক লাখ ২৩ হাজার ৯৩১ দশমিক নয় একর আর আবাসিক-বাণিজ্যিক মিশ্র ব্যবহার এলাকা হিসেবে এক হাজার ৭৭৮ দশমিক ৯৩ একরকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রোববার সচিবালয়ে ড্যাপ প্রণয়ন বিষয়ক এক সভায় বক্তব্য রাখছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা

খসড়া ড্যাপে ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আটটি নিয়ামককে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

এগুলো হলো, বন্যা ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, মুখ্য জনস্রোত এলাকা, সাধারণ জনস্রোত এলাকা, সাধারণ বন্যা অববাহিকা, দুর্যোগ, ভূ-তাত্ত্বিক ও ভূ-কম্পন সংক্রান্ত, বিশেষ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা কেপিআই।

ড্যাপ প্রণয়নের পর কোনো জটিলতা দেখা দিলে কী হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে এরিয়া নির্ধারণ করা হবে। যদি কোথাও পরিবর্তন বা সামঞ্জস্য করার প্রয়োজন হয় নীতিমালার ভিত্তিতে ধারাবাহিকভাবে সেটি করা হবে।’

এসময় রাজধানীর সব জায়গায় হোল্ডিং ট্যাক্স ও অন্যান্য বিল সমান হওয়া উচিত নয় বলেও মত দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘হোল্ডিং ট্যাক্স সব জায়গায় সমান হবে কেন? গুলশানে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম বেশি হবে। কারণ সেখানে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বেশি। যেসব এলাকায় নাগরিক সুবিধা বেশি সেখানে বাড়তি কর নিয়ে অন্য জায়গার উন্নয়ন করা যাবে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং নারায়ণঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।

এ বিভাগের আরো খবর