আগের দুই প্রান্তিকের ধারাবাহিকতায় জুলাই থেকে সেপ্টম্বর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকেও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি আয় করে চমক অব্যাহত রেখেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রিমিয়ার ব্যাংক।
এই পান্তিকে ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৬৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ছিল ৫১ পয়সা। আয় বেড়েছে ১৭ পয়সা বা ৩৩ শতাংশ।
এই আয় মিলিয়ে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। আয় বেড়েছে ৮৩ পয়সা বা ৫৯.২৮ শতাংশ।
এই আয় ২০২০ সালের আয়ের চেয়ে বেশি। ওই বছর শেয়ার প্রতি ২ টাকা ১৩ পয়সা আয় করতে পেরেছিল প্রিমিয়ার ব্যাংক।
ব্যাংকটি গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫৮ পয়সা আয় করেছিল। গত বছর এই সময়ে আয় ছিল ৯০ পয়সা। অর্ধবার্ষিকে আয় বাড়ে ৬৮ পয়সা বা ৭৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
গত বছর করোনার মধ্যেও ব্যাংকগুলোর আয় ও লভ্যাংশ ছিল চমক জাগানিয়া। চলতি বছর অর্ধবার্ষিকে আয় আরও বেশে বাড়িয়ে বিনিয়োগকারীদেরকে আরও আশাবাদী করে তুলেছিল ব্যাংকগুলো।
তৃতীয় প্রান্তিক শেষেও এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারছে ব্যাংকগুলো। এখন পর্যন্ত যেসব ব্যাংক প্রান্তিক ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে কেবল আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের লোকসান বেড়েছে।
অন্যদিকে এনসিসি, ইসলামী, সিটি, ওয়ান ব্যাংকের আয় বেড়েছে। এর মধ্যে ইসলামী, সিটি ও ওয়ান ব্যাংক তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা করলেও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কম আয় করেছে। তবে প্রিমিয়ার তার অবস্থান ধরে রেখেছে।
একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ অবশ্য কিছুটা কমেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে এই সম্পদ হয়েছে ২০ টাকা ৫৮ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে এই সম্পদ ছিল ২১ টাকা ২ পয়সার।
গত বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা ও সাড়ে ৭ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ২০০ শেয়ারে ১৫টি বোনাস দেয়া ব্যাংকটির শেয়ারদর তার সম্পদমূল্যের নিচে লেনদেন হচ্ছে।
প্রান্তিক প্রকাশের দিন ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের দর ছিল ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ার দর ১০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে।