নাটোরের লালপুরে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় এক কিশোর ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা রোববার দুপুর ১২টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, লালপুর উপজেলার আব্দুলপুরে নিজ বাড়ি থেকে শনিবার রাত ৮টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন ফাইজুল ইসলাম ও তার ছেলে।
এসপি জানান, গত ১৯ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিবেশীর বাড়িতে পিকনিক করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় ওই শিশু। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও সে বাড়ি না ফিরলে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে শুরু করেন। কোথাও খুঁজে না পেয়ে মাইকিং, পোস্টারিং ও জিডি করা হয়।
এরপর ২৩ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে বাড়ির কাছে ধানক্ষেত থেকে শিশুটির ডান হাতবিহীন, অর্ধগলিত বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই দিন রাতে ওই কিশোর ও তার বাবাকে আটক করা হয়। আটকের পর তাদের নামে ধর্ষণের পর হত্যা মামলা হয়।
এসপি লিটন জানান, গ্রেপ্তার দুজন পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, পিকনিক শেষে ওই কিশোর শিশুটিকে তাদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে প্রথমে তার গলা টিপে ধরে ও হাঁসুয়া দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে। এরপর তার দেহ বস্তাবন্দি করে সেপটিক ট্যাংকে রাখে।
বিষয়টি তার বাবা ফাইজুলকে জানালে তিনি বস্তাবন্দি মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে আসেন।
শিশুটির ডান হাত না থাকার বিষয়ে এসপি জানান, বস্তার এক দিক ছেঁড়া ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, শিয়াল বা কুকুর বস্তা ছিঁড়ে তার হাত খেয়ে ফেলেছে।