সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ভুয়া’ ভিডিও ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক রুমা সরকারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছে পুলিশ।
রোববার দুই দিনের রিমান্ড শেষে রুমা সরকারকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. শফিকুল ইসলাম।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
গত ২১ অক্টোবর রুমা সরকারকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
এর আগে ১৯ অক্টোবর রাজধানীর বেইলি রোডের বাসা থেকে রুমা সরকারকে আটক করে র্যাব-৩।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র্যাব তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে।
রুমা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোয়াখালীর যতন সাহার হত্যার শিরোনামে একটি অন্য ঘটনার ভিডিও আপলোড করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের হয়ে গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপপ্রয়াস চালান। যা বিভ্রান্তিমূলক। প্রকৃতপক্ষে ভিডিওটি গত ১৬ মে ঢাকার পল্লবী থানাধীন ডি-ব্লকের শাহিন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার ভিডিও।
দেবীগঞ্জে হিন্দু বাড়িতে আগুন (বাঁয়ে) ও বেগমগঞ্জে যতন সাহার ওপর হামলার ভিডিও দাবি করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয় ফেসবুকে। ছবি: সংগৃহীত
এ সময়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২১ কেন্দ্রিক সহিংসতাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা ঘটানো হচ্ছিল। দেশের এই সময়ে এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে রুমা সরকার গত ১৯ অক্টোবর দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট থেকে ২টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত ফেসবুক লাইভে আসেন।
সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি ভুল করে যতন সাহার মৃত্যুর দৃশ্য দেখে ফেলেছিলাম। গরুর মাংস যেভাবে কুপিয়ে বানায়, আহা হিন্দুদের প্রতি তোর এত ক্ষোভ। তোরা অমানুষ, হত্যার পর এই ভাবে কুপালী ক্যান?’
দেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে নাজুক পরিস্থিতিতে তার লাইভ ভিডিওটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে গুজব ও ভয়ভীতি ছড়াতে সাহায্য করে।