বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘোলাটের অপচেষ্টা রুখতে হবে’

  •    
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:৫৪

মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইন বলেন, ‘সম্প্রতি কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া ন্যক্কারজনক ঘটনা মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণের কারণ। একই সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায় এতে বিব্রত। মূর্তির পায়ে কোরআন রাখার মতো জঘন্য একটি কাজ কোনো সুস্থ মানুষের দ্বারা সম্ভব নয়।’

কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনা নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করার অপচেষ্টা রুখে দেয়াসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব দাবি জানানো হয়।

এ সময় ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইন বলেন, ‘সম্প্রতি কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া ন্যক্কারজনক ঘটনা মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণের কারণ। একই সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায় এতে বিব্রত। মূর্তির পায়ে কোরআন রাখার মতো জঘন্য একটি কাজ কোনো সুস্থ মানুষের দ্বারা সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ভারসাম্যহীন করার অপচেষ্টা।’

মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইন বলেন, ‘বাংলাদেশে যারা মন্দিরে পবিত্র কোরআন অবমাননা করেছে, হিন্দুদের পূজামণ্ডপে আক্রমণ করেছে ও মূর্তি ভেঙেছে, এদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সব সম্প্রদায়ের ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’

ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির অন্য দাবিগুলো হচ্ছে

১. সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করতে হবে।

২. অনতিবিলম্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ও এর সঙ্গে জড়িত বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী এবং এদের দোসরদের গ্রেপ্তারের আওতায় আনতে হবে।

৩. কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেকোনো পক্ষের, যেকোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিতে হবে।

৪. ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত চক্র যে গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের প্রত্যেককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় এনে যথাযোগ্য শাস্তি প্রদান করতে হবে।

৫. বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী কোনো সম্প্রদায় অপর সম্প্রদায়ের ধর্ম এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানলে দলমত-নির্বিশেষে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

৬. দেশের জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। তারা যেন দেশের বাইরে থেকে করা ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দেয়।

৭. মসজিদে-মন্দিরে এবং সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে ধর্মীয় গুরুদের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার গুরুত্ব, ফজিলত এবং অপর ধর্মের অনুসারীদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মো. ওমর ফারুক, পার্টির অন্যান্য নেতা কাজী মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, হাফেজ কারী মাওলানা আব্দুল মান্নান এবং মাওলানা মো. তাহেরুল ইসলামসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর