ভোলায় ঘুমন্ত স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার পর টুকরা টুকরা করার অভিযোগ উঠেছে দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নুর নাহার বেগমকে দাসহ আটক করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামের পণ্ডিতের পোল এলাকায় রোববার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ৪৫ বছর বয়সী ফরহাদ হোসেন টিটু মুন্সীর বাড়ি সদর উপজেলার উওর দিঘলদী ইউনিয়নের ঝড়ুমুন্সী বাড়ি এলাকায়। তার প্রথম স্ত্রী মাহামুদা বেগম তুহিনের সংসারে এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। আর দ্বিতীয় স্ত্রী নুর নাহার বেগমের সংসারে ৮ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান ভোলা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন।স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ফরহাদ তার দ্বিতীয় স্ত্রী নুর নাহারের সঙ্গে আলীনগরে থাকতেন। রোববার সকালে স্থানীয়রা নুর নাহারকে ঘরের সামনে রক্তাক্ত দা হাতে বসে থাকতে দেখে ৯৯৯-এ ফোন দেন।
নুর নাহারের ভাইয়ের বরাত দিয়ে এসআই জানান, শনিবার রাতে নুর নাহারের সঙ্গে তার স্বামীর ঝগড়া হয়। পরে ফরহাদ ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর নুর নাহার ঘুমন্ত স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেন। তাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। তার হাত-পা টুকরা টুকরা করে পাতিলে রাখেন নুর নাহার।
এ সময় স্থানীয়রা ছবি তুলতে গেলে নুর নাহার বলেন, ‘আপনারা কেউ আমার ছবি তুলবেন না। মিডিয়া এসে আমার ছবি তুলবে।’ এরপর থেকে বাক্রুদ্ধ নুর নাহার।
ফরহাদের খণ্ডিত মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এসআই কবির জানান, ফরহাদ দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক, হত্যা ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। তার দ্বিতীয় স্ত্রী অনেকবার তাকে পুলিশে ধরিয়েও দিয়েছিলেন।