বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশ ও জাতির জন্য কিছু করতে হবে: হাইকোর্ট

  •    
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:০৩

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘আমরা সবাই ঘুমাইয়া পড়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। শুধু আসলাম, গেলাম, তা তো না। দেশ ও জাতির জন্য কিছু করা দরকার, করতে হবে।’

যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া ও বহিষ্কৃত কমিশনার মোমিনুল হক সাঈদসহ অর্থপাচার মামলায় জারি করা রুলের জবাব আট মাসেও না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।

ক্ষুব্ধ উচ্চ আদালত বলেছে, ‘দেশ ও জাতির জন্য কিছু করতে হবে। শুধু আসলাম আর গেলাম, তা হবে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কিছু একটা করতে হবে।’

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এসব কথা বলে।

যুবলীগের বহিষ্কৃত দুই নেতা ও বহিষ্কৃত কমিশনারের বিরুদ্ধে গত ১৭ অক্টোবর প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালতে আজ শুনানি হয়।

শুনানির সময় বাকি ১৩ বিবাদী জবাব না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট।

ওই সময় আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে বলে, ‘কেন আদালতের আদেশ প্রতিপালন করা হয়নি? শুধু পুলিশ আদেশ প্রতিপালন করেছে। বাকিরা কোথায়? আমরা মামলাটি শুনানির দিন ঠিক করব। এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

‘এটা ঠিক নয়, আমরা কোর্ট একটা আদেশ দিলাম…আমরা রুল দিয়েছি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। প্রায় এক বছর হয়ে গেল। রুলের জবাবটাই দাখিল করা হলো না। আর কী বলব। এ নিয়ে কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘আমরা সবাই ঘুমাইয়া পড়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। শুধু আসলাম, গেলাম, তা তো না। দেশ ও জাতির জন্য কিছু করা দরকার, করতে হবে।

‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আপনাকেই করতে হবে। এটা নিয়ে শুধু সরকার করবে, তা তো নয়। সরকারকে সহযোগিতা করার দায়িত্ব আমাদের।’

পরে আদালত অর্থসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাণিজ্যসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের রেজিস্ট্রারকে আগামী ২১ নভেম্বর জবাব জমা দেয়ার দিন ঠিক করে দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

অর্থ পাচারে সম্রাটসহ আসামিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে এমনটি জানিয়ে গত ১৭ অক্টোবর প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।

সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে অর্থ পাচারের বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়া, এনামুল হক আরমান, রাজীব হোসেন রানা, জামাল ভাটারা, মোমিনুল হক সাঈদ, শাজাহান বাবলুর নাম রয়েছে।

বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িতদের খুঁজে বের করতে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশের আলোকে প্রতিবেদন জমা দেয় সিআইডি।

এ বিভাগের আরো খবর