রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুপল্লিতে সহিংসতার ঘটনায় ‘প্রধান অভিযুক্ত’ সদ্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ দুইজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে র্যাব।
পীরগঞ্জ থানায় রোববার সকালে এই মামলা করেন র্যাব-১৩-এর ডিএডি আব্দুল আজিজ।
আসামিরা হলেন সৈকত মণ্ডল ও তার সহযোগী বটেরহাট মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলাম।
মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে থানার উপপরিদর্শক সুদীপ্ত শাহীনকে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এএসপি কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, সৈকত ও রবিউলকে বেলা আড়াইটার দিকে পীরগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী খানের আদালতে তোলা হবে।
সৈকত মণ্ডল কারমাইকেল কলেজের ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট দেয়ায় সম্প্রতি তাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়ার কথা জানায় ছাত্রলীগ।
সৈকত ও তার সহযোগীর বিষয়ে শনিবার র্যাব জানায়, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অরাজকতা তৈরি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে হামলা-অগ্নিসংযোগ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার এবং মাইকিং করে হামলাকারীদের জড়ো করেন বলে জানিয়েছেন। গ্রেপ্তার সৈকত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক, বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণকে উত্তেজিত করে তোলেন। এ ছাড়া তিনি ওই হামলা ও অগ্নিসংযোগে অংশগ্রহণে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করেন।’
হিন্দুপল্লিতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় রিমান্ডে থাকা ৩৭ আসামিকেও দুপুরের পর আদালতে তোলা হবে। নতুন করে তাদের রিমান্ড নেয়া হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পীরগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, পীরগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় তিনটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা এবং একটি অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় এখন পর্যন্ত ৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত রোববার রাতে পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ২৩টি বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৬০টি পরিবার।