করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেয়াদের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশের বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে তাদের থাকতে হবে সাত দিনের কঠোর হোম কোয়ারিন্টিনে।
শনিবার রাতে এক সার্কুলারে এসব তথ্য জানিয়েছে বেবিচক।
এতে বলা হয়, আর্মেনিয়া, বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, জর্জিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মালদোভা, মঙ্গোলিয়া, ফিলিস্তিন, রোমানিয়া, সার্বিয়া, স্লোভেনিয়া ও ইউক্রেন থেকে আসা যাত্রীদের যারা ১৪ দিনের মধ্যে করোনা প্রতিরোধী টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন তাদের বাংলাদেশে প্রবেশে কোনো বাধা নেই। তবে বাংলাদেশে প্রবেশের পর তাদের থাকতে হবে সাত দিনের কঠোর হোম কোয়ারেন্টিনে।
এ ছাড়াও যাদের করোনা প্রতিরোধী টিকা নেয়া নেই, তাদেরকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর সরকার মনোনীত কোনো প্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এর বাহিরে যেকোনো দেশ থেকে আগতদের করোনা প্রতিরোধী টিকার দুটি ডোজ নেয়া থাকলে তাদের কোনো কোয়ারেন্টিন লাগবে না। যারা টিকা নেননি তাদের থাকতে হবে ১৪ দিনের কঠোর হোম কোয়ারেন্টিনে।
বাংলাদেশে প্রবেশের সময় কোনো যাত্রীর মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা গেলে তাকে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সরকারি কোনো হাসপাতাল বা সাত দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে বলে জানানো হয় বেবিচকের সার্কুলারে। এছাড়াও যাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যেক যাত্রীর আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।
১৮ বছরের নিচে যারা টিকা নেননি তারাও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে সার্কুলারে। তবে ১২ বছরের বেশি বয়সীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া ফ্লাইটের যাত্রী ধারনের বিষয়ে বিধিনিষেধেও পরিবর্তন এসেছে। এখন থেকে মাঝারি আকারের উড়োজাহাজে যাত্রী নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না। সুপরিসর উড়োজাহাজে বহন করা যাবে সর্বোচ্চ ২৮০ জন যাত্রী। তবে বোয়িং ট্রিপল সেভেনে ও সেভেন ফোর সেভেন উড়োজাহাজে যাত্রী সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৫০ জন।
বাংলাদেশে আসা মাঝারি আকারের উড়োজাহাজে বহন করা যাবে সর্বোচ্চ ১৪০ জন যাত্রী। আর সুপরিসর উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে বহন করা যাবে ধারণ ক্ষমতার সর্বোচ্চ ৮০ ভাগ যাত্রী।