বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবারও নিলামে ১১২টি বিলাসবহুল গাড়ি

  •    
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২১ ১১:৩০

নিলামে গাড়ি পেলেও বন্দর থেকে খালাস নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স পারমিট নিতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে এটি সংগ্রহ করতে হবে। আগের নিলামগুলোতে গাড়ি বিক্রি না হওয়ার প্রধান কারণ এই জটিলতা। এ ছাড়া বেশির ভাগ গাড়ির যন্ত্রাংশ নেই। এমনকি বেশ কিছু গাড়ির চাবিই নেই।

চলাচলের অনুপযোগিতা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র (ক্লিয়ারেন্স পারমিট বা সিপি) নিয়ে অনিশ্চয়তা রেখেই আমদানি করা ১১২টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে তুলেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

এর আগে চারবার নিলামে তোলা হলেও বিক্রি হয়নি এসব গাড়ি। তাই পঞ্চমবারের মতো ডাকা নিলামেও গাড়ি বিক্রি নিয়ে সন্দিহান বিডাররা (অংশগ্রহণকারীরা)। এবারের নিলামকে তারা প্রহসন হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।

তবে এবারের নিলামে বিডার বাড়বে দাবি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, মোংলাসহ পাঁচ স্থানে আগামী ৩ ও ৪ নভেম্বর দরপত্র দাখিল করা যাবে। পাশাপাশি ই-অকশানের (অনলাইন নিলাম) ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে কাস্টমস কাঙ্খিত দর পাবে; আবার গাড়ি বিক্রির মাধ্যমে বন্দরের জায়গা খালি হবে, সরকারি কোষাগারেও জমা হবে বিপুল রাজস্ব।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের আগস্টে, ২০১৭ সালের মে মাসে, ২০১৮ সালের ৩০ মে এবং ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল বিলাসবহুল এসব গাড়ি নিলামে তোলা হয়। তখন কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় গাড়িগুলো বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।

জার্মানি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে তৈরি উচ্চমূল্যের বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, লেক্সাস ও মিৎসুবিসির মতো দামি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে এগুলোর মধ্যে। ২০১১ সাল থেকে গাড়িগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আমদানিনীতি আদেশের শর্ত অনুযায়ী গাড়ি তৈরির সাল থেকে পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি আমদানি করা যাবে না। কিন্তু এখানের বেশির ভাগ গাড়ি ১০ থেকে ১২ বছরের পুরোনো।

নিলামে গাড়ি পেলেও বন্দর থেকে খালাস নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স পারমিট নিতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে এটি সংগ্রহ করতে হবে। আগের নিলামগুলোতে গাড়ি বিক্রি না হওয়ার প্রধান কারণ এই জটিলতাগুলোই। এ ছাড়া বেশির ভাগ গাড়ির যন্ত্রাংশ নেই। এমনকি বেশ কিছু গাড়ির চাবিই নেই।

নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জহিরুল ইসলাম নাঈম বলেন, ‘নিয়মিত নিলামে অংশ নিই। কিন্তু এবার নিব না। নিলামের ক্যাটালগে দেয়া বেশির ভাগ গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী। বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নেই। এসব দামি গাড়ির যন্ত্রাংশ পাওয়া কঠিন।

‘তা ছাড়া নিলামে গাড়ি পেলেও সিপি নিতে হবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। আমদানিনীতি আদেশ অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিপি দেবে না। আর সিপি না পেলে গাড়ি খালাস নিতে পারবেন না ক্রেতারা।’

ক্যাটালগ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০০৭ সালে জার্মানের তৈরি একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা। ২ হাজার ৯৯৩ সিসির গাড়িটির চাবি নেই। রাবার চ্যানেল, হুইল ও ব্যাটারি ব্যবহারের অনুপযোগী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্যের তৈরি ল্যান্ড রোভার গাড়ির দাম দেয়া হয়েছে ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। গাড়িটির চাবি ও ড্যাশবোর্ড নেই।

জানা গেছে, সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশের কম দাম পেলে দ্বিতীয়বার নিলামে তুলতে হবে। তখন প্রথমবারের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। তবে তৃতীয়বার যেকোনো মূল্যে বিক্রির এখতিয়ার রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার আল আমীন বলেন, ‘গাড়িতে কোনো সমস্যা থাকলে তা হিসাব করে দাম কম দেবে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিজ উদ্যোগে সিপি সংগ্রহ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করব। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে ১১২টি গাড়ির জন্য স্পেশাল অনুমতি চাইব। এ ক্ষেত্রে গাড়ির যৌক্তিক দাম হাঁকতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর