বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেএমসেন মণ্ডপে ভাঙচুর: দায় স্বীকার নুরের সংগঠনের নেতার

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২১ ২২:২০

তদন্ত কর্মকর্তা বাবলু কুমার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার ১০ জনের মধ্যে সাত জনকে শুক্রবার ১ দিন করে রিমান্ডে পাই আমরা। রিমান্ড শেষে শনিবার তাদের আদালতে তোলা হলে হাবিবুল্লাহ মিজান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।’

চট্টগ্রামে জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও তার সংগঠন যুব অধিকার পরিষদের নেতা হাবিবুল্লাহ মিজান।

শনিবার এক দিনের রিমান্ড শেষে মিজানসহ সাতজনকে আদালতে হাজির করলে চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম শফিউদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।

জবানবন্দির বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবলু কুমার।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার ১০ জনের মধ্যে সাত জনকে শুক্রবার ১ দিন করে রিমান্ডে পাই আমরা। রিমান্ড শেষে শনিবার তাদের আদালতে তোলা হলে হাবিবুল্লাহ মিজান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।’

বাবুল কুমার আরও বলেন, ‘জবানবন্দিতে তিনি জানান, ঘটনার আগের দিন শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা মোক্তার হোসেনের বাসায় মিটিং করেন সবাই। মিটিংয়ে আন্দরকিল্লা মসজিদ থেকে জুমার নামাজের পর মিছিল বের করার পরিকল্পনা করা হয়।’

মিজান আগে ছাত্র অধিকার পরিষদের বন্দর থানার আহ্বায়ক ছিলেন। পরে যুব অধিকার পরিষদে যোগ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে যুব অধিকার পরিষদের ৯ নেতাকর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক মো. নাছির, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, বায়েজিদ থানার আহ্বায়ক ডা. রাসেল, ইয়ার মোহাম্মদ, কর্মী মো. মিজান, গিয়াস উদ্দিন, ইয়াসিন আরাফাত, হাবিবুল্লাহ মিজান, ইমন ও ইমরান হোসেন।

তাদের গ্রেপ্তারের পর জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপের প্রবেশ পথ ও তোরণ ভাঙচুর এবং ব্যানার ছেঁড়ার পরিকল্পনায় যুব অধিকার পরিষদের নেতারা জড়িত বলে জানায় পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন শুক্রবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করেছি। তারা ঘটনার পরিকল্পনায় ছিলেন। সাধারণ মুসল্লিদের ব্যবহার করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে হামলার নেতৃত্বও দিয়েছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর