ফরিদপুরের সালথায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই প্রার্থীর প্রায় ২০ জন সমর্থক।
সংঘর্ষে নিহত ৩০ বছর বয়সী মারিজ শিকদার বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক। তার বাড়ি খারদিয়া গ্রামে।
সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া এলাকায় শনিবার বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, যদুনন্দী ইউপি নির্বাচনে গত ১৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর বর মোল্যা মনোনয়নপত্র জমা দেন। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন রফিক মোল্যা ও নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুর।
বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেও রফিকের সঙ্গে বিরোধের জেরে টুকু আব্দুর বর মোল্যা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সমর্থক হিসেবে কাজ করেন।
নির্বাচন নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে শনিবার সকাল থেকে খারদিয়া এলাকায় রব ও রফিকের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। বেলা ২টার দিকে শুরু হয় সংঘর্ষ। কয়েক দফা সংঘর্ষে আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে মারিজ শিকদারের মৃত্যু হয়।
মারিজের মৃত্যুর সংবাদে রফিক মোল্যার অনুসারীরা আব্দুর রব মোল্যার সমর্থকদের প্রায় ৫০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান।
জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমিনুর রহমান বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারের জেরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে আব্দুর রব মোল্যা ও রফিক মোল্যার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কেউ ফোন ধরেননি।