বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৩ বছর আগে কী বলেছিলেন শাহরুখ

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২১ ২০:৫৭

২০০৮ সালে একটি জার্মান চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে নিজের পরিবার বিশেষ করে সন্তানদের সম্পর্কে শাহরুখ এমন কিছু বলেছিলেন যার ছায়া দেখা যাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে।

দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে সম্প্রতি মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের জেলখানায় ছেলে আরিয়ানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। গত ২ অক্টোবর মাদক সেবনের অভিযোগে একটি প্রমোদতরী থেকে আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনবিসি)।

এ ধরনের মামলায় সাধারণত সহজে জামিন পাওয়া গেলেও আরিয়ানের বেলায় ব্যতিক্রম হচ্ছে বলে অভিযোগ খান পরিবারের ভক্তদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভক্তদের ওয়ালে ওয়ালেই এবার ঘুরে বেড়াচ্ছে ১৩ বছর আগে দেয়া শাহরুখ খানের একটি সাক্ষাতকার।

ডিএনএইন্ডিয়া জানিয়েছে, ২০০৮ সালে একটি জার্মান চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে নিজের পরিবার বিশেষ করে সন্তানদের সম্পর্কে শাহরুখ এমন কিছু বলেছিলেন যার ছায়া দেখা যাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে।

সেই সাক্ষাতকারে শাহরুখ বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে বড় ভয় আমার সন্তানদের নিয়ে। আমি চাই তারা আমার ছায়ার বাইরে গিয়ে বাঁচুক। আমার খ্যাতি তাদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আমি চাইনা তারা এর সঙ্গে লড়াই করুক এবং বলুক ওহ, আমি আমার বাবার চেয়েও ভালো। আমি চাই না বাবার খ্যাতির ঘোরে পড়ে তারা জীবনে কিছু না করার কথা ভাবুক। কারণ তারা আমার সন্তান।’

এরপর শাহরুখ যোগ করেন, ‘এটা সত্যি যে, আমার নাম-যশ তাদের জীবনকে নষ্ট করে দিতে পারে। আমি এমনটি চাইবো না। তারা আমার সন্তান- এই পরিচয়ের চেয়ে আমি তাদের বাবা পরিচয়েই থাকতে পছন্দ করবো।’

শুধু এটিই নয়, আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই সাক্ষাতকারটি তিনি দিয়েছিলেন করন জোহরের সঞ্চালনায় ‘কফি উইথ করন’ অনুষ্ঠানে।

সন্তানদের প্রসঙ্গ চলে এলে সেই সাক্ষাতকারে শাহরুখ বলেছিলেন, ‘একটি সন্তান জন্ম দেয়ার সিদ্ধান্তের মানে হলো- হৃদয়ের একটি টুকরোকে শরীরের বাইরে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত।’

সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কটিকে বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘যদি দেখি আমার কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু দাঁড়িয়ে আছে এবং তার দিকে একটি গাড়ি তীব্র গতিতে ছুটে আসছে, তবে আমি ধাক্কা দিয়ে সেই পথ থেকে তাকে সরিয়ে দেবো। আর যদি দেখি- আমার স্ত্রী কিংবা আমার বোন দাঁড়িয়ে আছে এবং তার দিকে গাড়িটি ছুটে আসছে। তবে নিঃসন্দেহে সেই পথ থেকে তাকে আমার দিকে টেনে নেব কোনো আঘাতের চিন্তা না করেই। কিন্তু এই ঘটনাটি যদি আমার সন্তানের বেলায় ঘটে; তবে আমি সেই গাড়িটির সামনে গিয়ে দাঁড়াবো এবং এটিকে থামাবোই।’

এ বিভাগের আরো খবর