গত ছয় মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আনলিমা ইয়ার্নের শেয়ার দরে উত্থানের সঙ্গে অর্থবছর শেষে আয় ও লভ্যাংশে মিল পাওয়া গেল না।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৫ পয়সা আয় করে ২০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এবারের আয় তৃতীয় প্রান্তিক শেষে আরও বেশি ছিল। তবে শেষ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৯ টাকা লোকসান দেয়ার পাশাপাশি কোম্পানির শেয়ার দর বিবেচনায় নিলে তা বিনিয়োগকারীদের হতাশ করবে।
গত ১১ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৩১ টাকা। এরপর থেকে টানা উত্থান শুরু হয়। ২০ আগস্ট দাম দাঁড়ায় ৫২ টাকা ৯০ পয়সা।
সে সময় পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ার দর টানা বাড়ছিল। কেবল শেয়ার সংখ্যা কম, এ কারণে যাচাই-বাছাই ছাড়াই বহু বিনিয়োগকারী হুমড়ি খেয়ে পড়েন নানা কোম্পানিতে।
১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের আনলিমার শেয়ার সংখ্যা কেবল ১ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০টি। এই শেয়ারের প্রায় অর্ধেক উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে। ফলে বাজারে ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের সংখ্যা ৯০ লাখের মতো। এই বিষয়টিকে ব্যবহার করেই সে সময় গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয় যে শেয়ার দর ৮০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
কিন্তু আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে টানা পড়তে পড়তে শেয়ার দর এখন নেমেছে ৩৮ টাকা ৭০ পয়সায়।
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ও লভ্যাংশ কখনও আহামরি কিছু ছিল না। গত ৬ বছরে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ এসেছে ১০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা।
২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছর এই হারে লভ্যাংশ দিলেও পরের দুই বছর তা কমে যায়। এর মধ্যে ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা এবং ২০২০ সালে ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া হয়।
২০১৬ সালে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ১২ পয়সা, ২০১৭ সালে ৫৬ পয়সা, পরের বছর ৫৫ পয়সা, ২০১৯ সালে ৫২ পয়সা এবং ২০২০ সালে আয় করে ১৪ পয়সা।
যারা এই লভ্যাংশ যারা নিতে চান, তাদের আগামী ১৫ নভেম্বর শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে রেকর্ড ডেট। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে ২০ ডিসেম্বর।
কোম্পানিটির আয়ের পাশাপাশি সম্পদমূল্যও কমেছে। গত ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৬৩, যা গত বছর জুন শেষে ছিল ১০ টাকা ৬৯ পয়সা।