বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেনেশুনে ঘৃণাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে ফেসবুক

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২১ ২০:১৬

নতুন করে শুক্রবার ফেসবুকের এমন সব কর্মকাণ্ড ফাঁস করেছেন মাধ্যমটির সাবেক এক কর্তা। ফেসবুক কীভাবে ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছে এবং অবৈধ কাজ করছে সেসব বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

কিছুদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সাবেক এক কর্মকর্তা দাবি করেন, মাধ্যমটির মূল লক্ষ্য মুনাফা করা। সে জন্য মাধ্যমটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তাকেও খুব বেশি আমলে নেয় না।

নতুন করে শুক্রবার ফেসবুকের এমন সব কর্মকাণ্ড ফাঁস করেছেন মাধ্যমটির সাবেক এক কর্মকর্তা। ফেসবুক কীভাবে ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছে এবং অবৈধ কাজ করছে সেসব বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

নির্বাচনের সময় ভুয়া তথ্য ছড়ানো ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক। এমনকি নতুন কিছু নথি ফাঁসের পর ফেসবুক বেশ চাপে পড়েছে বলেও জানান তিনি।

নতুন করে ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা ওই ব্যক্তি কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে।

তিনি জানান, ফেসবুকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থা যারা পাবলিক ট্রেড কোম্পানিতে বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করে তাদের কাছেও অভিযোগ করা হয়েছে।

সাবেক ওই কর্মকর্তা সেখানে বলেছেন, ফেসবুক কীভাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার মতো রাগান্বিত ব্যক্তি ও কোম্পানিকে খুশি রাখতে নিরাপত্তা বিধি প্রয়োগে অস্বীকার করেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও ভারতেও বিভিন্ন ধরনের ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে মাধ্যমটির বিরুদ্ধে। সেসব নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকার কথা জানা যায়নি মাধ্যমটির পক্ষ থেকে।

অবশ্য ফেসবুকের যোগাযোগ কর্মকর্তা ট্র্যাকার বাউন্ড ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্ল্যাটফর্মটির ভূমিকা নিয়ে যে উদ্বেগ তা উড়িয়ে দিয়েছেন।

বাউন্ড বলেন, ‘সেটি তো শেষ হয়ে গেছে।’

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এসব অভিযোগের কিছু ধরার মধ্যেই ছিল না। তারা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিষয়টি ভুলে অন্যদিকে চলে যায়। আমরা টাকা আয় করছি এবং আমরা ভালো আছি।’

ফেসবুকের সাবেক প্রোডাক্ট ম্যানেজার ফ্রান্সেস হাউজেন বলেন, ফেসবুক জননিরাপত্তার বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে ক্রমাগত মুনাফার দিকে ঝুঁকছে।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাউজেন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ফেসবুকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সামনেই যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাক্ষ্য দেবেন তিনি। এ বিষয়কে ঘিরে তৈরি হয়েছে সংকট। তাই ব্র্যান্ডটি নিজেদের নাম পরিবর্তন করার মতো বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে ফেসবুক।

একই দিনে নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং এনবিসি একটি গোপন নথি ফাঁসের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখানো হয়েছে, ২০২০ সালের নির্বাচনেও মাধ্যমটি কীভাবে ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছে।

নির্বাচনে হেরে গিয়ে ডনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ফেসবুক জো বাইডেনের হয়ে কাজ করেছে।

অবশ্য একটি তথ্য বিশ্লেষণ করে নিউইয়র্ক টাইমস দেখিয়েছে, বাইডেনের পক্ষে প্রচারে ফেসবুকে যেসব তথ্য ছড়ানো হয়েছে তার অন্তত ১০ শতাংশ ছিল ভুয়া।

এটা শুধু মুনাফা লাভের আশাতেই করেছে বলে দাবি করেছেন ফেসবুকের সাবেক কর্মকর্তা ও তথ্য ফাঁসকারী।

মানবাধিকার সংস্থা ফ্রি প্রেস অ্যাকশনের কো-সিইও জেসিকা জে গোলন্দাজ বলেন, ‘এখন কংগ্রেসের উচিত হবে ফেসবুকের ব্যবসার মডেলটি খতিয়ে দেয়া। কেননা তাদের বিরুদ্ধে খুব বেশি পরিমাণে ঘৃণা ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর