বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যাপক আয়ের পর সর্বোচ্চ লভ্যাংশ বিএসআরএম লিমিটেডেরও

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:৫৬

এবার কোম্পানিটি যে ব্যাপক আয় করতে যাচ্ছে, সেটি প্রতি প্রান্তিক শেষে প্রকাশিত হিসাবেই স্পষ্ট ছিল। ২০২০ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৪২ পয়সা, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ৫২ পয়সা, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৬ টাকা ২৬ পয়সা আয় করে তিন প্রান্তিকে আয় ছিল ১০ টাকা ৯৩ পয়সা। শেষ প্রান্তিকে আয় হয়েছে আরও ৮ টাকা ৩ পয়সা।

বিএসআরএম স্টিলের মতোই একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি বিএসআরএম লিমিটেডও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ব্যাপক আয় করার পর।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ১৮ টাকা ৯৬ পয়সা আয় করে ৫ টাকা নগদ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি।

অর্থাৎ এবার লভ্যাংশ দেয়া হচ্ছে ৫০ শতাংশ। এর মধ্যে ১০ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ দেয়া হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন। আর চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বাকিটা।

শনিবার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত হয়।

২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কখনও কোম্পানিটি এত বেশি আয় করতে পারেনি। এবারের মতো এত লভ্যাংশও দেয়া হয়নি কখনও।

তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এবারের আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ লভ্যাংশ এসেছে ২০১৯ সালে ২৫ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আড়াই টাকা।

এবার কোম্পানিটি যে ব্যাপক আয় করতে যাচ্ছে, সেটি প্রতি প্রান্তিক শেষে প্রকাশিত হিসাবেই স্পষ্ট ছিল। ২০২০ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৪২ পয়সা, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ৫২ পয়সা, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৬ টাকা ২৬ পয়সা আয় করে তিন প্রান্তিকে আয় ছিল ১০ টাকা ৯৩ পয়সা।

তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কোনো বছরেই এবারের তিন প্রান্তিকের সমান আয় করতে পারেনি বিএসআরএম লিমিটেড। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা চতুর্থ প্রান্তিকের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এই প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করল ৮ টাকা ৩ পয়সা।

তালিকাভুক্ত হওয়ার পর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের বদলে জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত অর্থবছর নির্ধারণে ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত যে ১৮ মাসের হিসাব করা হয়েছিল, তখনও এত বেশি আয় হয়নি।

ওই দেড় বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৬ টাকা ৮৯ পয়সা। পরের বছর আয় বেড়ে হয় ১২ টাকা ৯৫ পয়সা।

তবে এরপর দুই বছর টানা শেয়ারপ্রতি আয় কমে যায়। ২০১৯ সালে আয় কমে দাঁড়ায় ৭ টাকা ৮৮ পয়সা, আর ২০২০ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৩ টাকা ৯০ পয়সা।

আয়ে উল্লম্ফনের পাশাপাশি কোম্পানির শেয়ার দরও গত এক বছর ধরে টানা বেড়েছে। এই সময়ে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের দর সর্বনিম্ন ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠে।

গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১১৩ টাকা ১০ পয়সা।

২০১৭ ও ২০১৮ সালে লভ্যাংশ এসেছে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ও ১০ শতাংশ করে বোনাস। এর পরের দুই বছর কেবল নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়।

এর মধ্যে ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি আড়াই টাকা এবং গত বছর দেয়া হয় দেড় টাকা করে।

কোম্পানিটির আয়ের পাশাপাশি সম্পদমূল্যও বেড়েছে। গত ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি এই সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১২৭ টাকা ৫৬ পয়সা টাকা, যা গত বছর জুন শেষে ছিল ৯৯ টাকা ৮৯ পয়সা।

যারা এবারের লভ্যাংশ যারা নিতে চান, তাদের আগামী ১৮ নভেম্বর শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে রেকর্ড ডেট। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে ২৩ ডিসেম্বর।

এ বিভাগের আরো খবর