এক যুগ আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর থেকে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেড এবার সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ দেয়া হয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ, আর ৩০ শতাংশ দেয়া হলো চূড়ান্ত লভ্যাংশ।
শনিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এই লভ্যাংশ ঘোষণা করে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা এবার শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা লভ্যাংশ পেতে যাচ্ছেন। এর আগে কোম্পানিটি সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।
গত বছর শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৯৭ পয়সা আয় করে দেড় টাকা লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে বছর আয়ে ভাটা পড়লেও চলতি বছর করোনার মধ্যেই ঘুরে দাঁড়ায়। কেবল গত বছর নয়, শেষ পর্যন্ত গত পাঁচ বছরের মধ্যেই সর্বোচ্চ আয় করতে পারে কোম্পানিটি।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৮ টাকা ১০ পয়সা আয় করেছে।
এর আগে অর্থবছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের বদলে জুলাই থেকে জুন নির্ধারণে ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত দেড় বছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৮ টাকা ৬৬ পয়সা আয় করে।
ওই দেড় বছরে বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ৩ টাকা করে লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
২০১৮ সালে এক বছরের হিসাবে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় হয় ৫ টাকা ২৭ পয়সা। ওই বছরে শেয়ারে এক টাকার পাশাপাশি ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া হয় লভ্যাংশ হিসেবে।
২০১৯ সালে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ৬০ পয়সা আয় করে আড়াই টাকা লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করে। পরের বছর কোম্পানিটির আয় কমে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হওয়ার পর লভ্যাংশও কমিয়ে দেয়া হয়।
তবে গত জুলাই থেকে করোনার মধ্যেই কোম্পানিটি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৯৫ পয়সা এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ২ টাকা ২৫ পয়সা আয় করার পরই বোঝা যায় বছরটা ভালো যাবে কোম্পানিটির।
জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটি ৩ টাকা ৬৮ পয়সা আয় করে চমক দেখায়। আর তৃতীয় প্রান্তিক মিলিয়ে তখন আয় দাঁড়ায় ৬ টাকা ৮৮ পয়সা। শেষ প্রান্তিকে আয় হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা।
কোম্পানিটির আয়ের পাশাপাশি সম্পদমূল্যও বেড়েছে। গত ৩০ জুন এই সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ৩৮ পয়সা, যা গত বছর জুন শেষে ছিল ৫৬ টাকা ৮৪ পয়সা।
আয় ক্রমে বাড়তে থাকায় কোম্পানির শেয়ার দরেও উল্লম্ফন হয়েছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সর্বনিম্ন ছিল ৩৭ টাকা। সর্বোচ্চ দাম ছিল ৮২ টাকা ৫০ পয়সা। তবে সাম্প্রতিক দর সংশোধনে দাম কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ৯০ পয়সা।
যারা এই লভ্যাংশ যারা নিতে চান, তাদের আগামী ১৮ নভেম্বর শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে রেকর্ড ডেট। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে ২৩ ডিসেম্বর।