পিরোজপুরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মারধরের শিকার হয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার সাক্ষী জলিল শেখ।
জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট বন্দর বাজারে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ হামলাকারী জাহিদুল ইসলামকে আটক করেছে। আর আহত জলিল শেখকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়িক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জলিল শেখকে মারধর করেন জাহিদুল।
এ ঘটনায় আহত ৭২ বছরের জলিল শেখের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামে। আটক জাহিদুলের বাড়ি খুলনার রামনগর এলাকায়।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জলিল শেখ জানান, পাড়েরহাট বন্দর বাজারে তার ইলেক্টনিক্স যন্ত্রাংশ মেরামতের দোকার রয়েছে। কয়েক দিন আগে স্থানীয় একজন তার কাছে একটি আইপিএস মেরামতের জন্য দেন।
শুক্রবার সেই ব্যক্তির পরিবর্তে জাহিদুল আইপিএসটি নিতে যান। অপরিচিত হওয়ায় তিনি আইপিএস দিতে না চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহিদুল তার উপর হামলা চালায়।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তন্ময় মজুমদার জানান, জলিল শেখের পিঠের দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘সাক্ষী জলিল শেখের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে এক ব্যক্তির সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত জাহিদুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।’
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন জানান, যুদ্ধাপরাধী মামলার সাক্ষী জলিল শেখের নিরাপত্তার জন্য থাকা পুলিশই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।