ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কেন্দ্রে ৬৯ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। অনুপস্থিত ছিলেন ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী।
অনুপস্থিতির একই চিত্র বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রেও।
শনিবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে ভর্তি পরীক্ষা সাড়ে ১২টায় শেষ হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এসএম জিয়াউল ইসলাম জানান, ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ হাজার ৯০৩ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ৮৬৯ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৩ হাজার ৩৪ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন, কলা ও মানববিদ্যা, সমাজ বিজ্ঞান ও আইন অনুষদে পরীক্ষা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ভর্তি পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘ঘ’ ইউনিট ভর্তি কমিটির চবি কো-অর্ডিনেটর চবি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটর চবি আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ-ইউনিট চট্টগ্রাম অঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর ঢাবি ট্রেজারার প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘সন্তোষজনকভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সব কিছু ভালোভাবে হয়েছে, কোন ধরনের সমস্যা হয়নি।’
এদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম জানান, ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষায় বরিশাল বিভাগে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত ছিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র।
তিনি আরও জানান, ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বরিশালে ৩ হাজার ১৩ জন অংশ নেয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ২ হাজার ১০৪ জন অংশ নেন। অনুপস্থিত ছিলেন ৯০৯ জন।
সেই হিসেবে উপস্থিতির হার ছিল ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রের বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
কোন ধরণের সমস্যা ছাড়াই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাবিসহ দেশের সাত বিভাগের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার বেলা ১১টায় একযোগে শুরু হয়। চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিস জানায়, ‘ঘ’ ইউনিটে ১ হাজার ৫৭০ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৮১ জন আবেদন করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬১ হাজার ৮৫০, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ হাজার ৮৯৮, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৭৯৮, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ হাজার ১২৪, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ১৭৮, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ১৩ এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ হাজার ২০ জনের আসন পড়েছে।
ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবেন। এ ইউনিটে ১১টি অনুষদের অধীনে বিভাগ রয়েছে ৫৫টি।
গত ১ অক্টোবর থেকে ঢাবির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। ওই দিন বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়।