বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিতু হত্যার ৫ বছর পর আসামি ভোলা গ্রেপ্তার 

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:৪৮

পিবিআই চট্টগ্রাম নগরীর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, ‘ভোলাকে যশোর থেকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এহতেশামুল হক ভোলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

যশোরের বেনাপোল থেকে শুক্রবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে বিষয়টি শনিবার নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম নগরীর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।

নাইমা বলেন, ‘ভোলাকে যশোর থেকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

এই মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করলে ১৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ভোলাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়।

জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তাকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফখরুদ্দিন চৌধুরী ১৪ অক্টোবর বলেন, ‘ভোলা আজ আত্মসমর্পণ না করে সময়ের আবেদন করেন। আমরা এর বিরোধিতা করি। ভোলা হাইকোর্টের নির্দেশনা পালন না করায় আদালত সময়ের আবেদন নাকচ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।’

মাহমুদা খানম মিতু

বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী মিতুকে হত্যার অভিযোগে বাবুলের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১২ মে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করা হয়। মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের করা সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিনই বাবুলকে আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ড শেষ হওয়ার পর থেকে কারাগারে আছেন বাবুল।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে।

ঘটনার পর তৎকালীন এসপি বাবুল আকতার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

তবে বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুলকে দায়ী করে আসছিলেন।

শুরুতে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলার তদন্তভার পিবিআইকে দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর