বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যশোর শিক্ষা বোর্ডে আরও আড়াই কোটি টাকার জালিয়াতি

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:৫২

নতুন জালিয়াতির বিষয়ে বলা হয়েছে, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম শিক্ষা বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন সচিব থাকার সময় এসব জালিয়াতি করেছেন। ২০১৭ সাল থেকে শিক্ষা বোর্ডের মোট পাঁচ কোটি টাকা চেক জালিয়াতি করে তুলে নেয়া হয়েছে।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতি করে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতে একই পরিমাণ অর্থের আরও জালিয়াতি ধরা পড়েছে।

৯টি প্রতিষ্ঠানের নামে আরও ২ কোটি ৪৩ লাখ ৭ হাজার ৮৭৮ টাকা তুলে নেয়ার প্রমাণ পেয়েছে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে দুদকে নতুন অভিযোগও দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ৮ অক্টোবর চেকের মুড়ি বইয়ের (গ্রাহকের কাছে থাকা চেকের অংশ) সঙ্গে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট মেলানোর সময় ১০ হাজার ৩৬ টাকার বিপরীতে মোট ৯টি চেকে জালিয়াতি করে ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা তোলার ঘটনা ধরা পড়ে।

ওই ঘটনায় ১৮ অক্টোবর দুদক পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করে।

মামলার আসামিরা হলেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এ এম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, যশোর রাজারহাটের ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু ও শেখহাটী জামরুলতলার শাহী লাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম।

নতুন জালিয়াতির বিষয়ে বলা হয়েছে, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম শিক্ষা বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন সচিব থাকার সময় এসব জালিয়াতি করেছেন। ২০১৭ সাল থেকে শিক্ষা বোর্ডের মোট পাঁচ কোটি টাকা চেক জালিয়াতি করে তুলে নেয়া হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট বিজনেস আইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে আয়কর বাবদ ১২ হাজার ২৭৬ টাকা তুলে নেয়া হয়। একই সালের ৪ অক্টোবর শহরের জামে মসজিদ লেনের নূর এন্টারপ্রাইজের নামে ৫৯ হাজার ৩৫ টাকা তোলা হয়।

২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল মেসার্স খাজা প্রিন্টিং প্রেসের নামে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩০ টাকা এবং নিহার প্রিন্টিং প্রেসের নামে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এভাবে ৯টি প্রতিষ্ঠানের নামে আরও ২ কোটি ৪৩ লাখ ৭ হাজার ৮৭৮ টাকা তুলেছেন হিসাব সহকারী আবদুস সালাম।

এ ছাড়া সেকশন অফিসার আবুল কালাম আজাদের নামে ৯৪ হাজার ৩১৬ টাকা এবং আবদুস সালামের নিজ নামে ২৫ লাখ ৮০ হাজার ১০ টাকা তোলা হয়েছে।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগের উপপরিচালক এমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা আরও প্রায় আড়াই কোটি টাকার চেক জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছি। দুদকে ২১ অক্টোবর আরও একটি অভিযোগ জমা দিয়েছি।

‘বর্তমান চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন বোর্ডের সচিব থাকাবস্থায় প্রথম জালিয়াতি হয়েছে। আবদুস সালাম তখন হিসাব শাখার দায়িত্বে ছিলেন। তার নেতৃত্বে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক যশোরের শরিফুল ইসলাম বাবু এসব জালিয়াতি করেছেন বলে আমরা জেনেছি। দুদক বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’

দুদকের যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, ‘আরও প্রায় আড়াই কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ পেয়েছি। এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর