পটুয়াখালীতে লঞ্চের কেবিন থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এমভি সম্রাট লঞ্চের স্টাফ কেবিনের তালা ভেঙে শনিবার সকাল ৮টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
লঞ্চের বাবুর্চি সোহেল মিয়ার বরাত দিয়ে তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশে ছেড়ে আসে লঞ্চটি। এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই নারী এবং তার সঙ্গে থাকা আরেকজন পুরুষ রুমটি (স্টাফ কেবিন) ১ হাজার ৩০০ টাকায় ভাড়া নেন।
রাত ১২টার পর লঞ্চের নিচের ক্যানটিন বন্ধ করে সোহেল সেখানে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে সব যাত্রী নামার পর তিনি রুমের সামনে গিয়ে দেখেন তালা দেয়া। অথচ লঞ্চ থেকে নামার আগে কেবিন বয়দের কাছে চাবি দেয়ার নিয়ম রয়েছে।
নিয়ম না মানার বিষয়টি সোহেল ঘাটের সাবেক ইজারাদার ফারুক মিয়াকে জানান। এ সময় তিনি পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ তালা ভেঙে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।
সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার সঙ্গী পলাতক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লঞ্চের বাবুর্চি সোহেল মিয়াকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, ওই নারীর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তার আঙুলের ছাপ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষের উচিত প্রথম শ্রেণির কেবিনের মতো স্টাফ কেবিনে ওঠা যাত্রীদেরও পরিচয়পত্র লিপিবদ্ধ করা। যদি তা করা হতো, তাহলে সহজেই ওই নারীর পরিচয় পাওয়া যেত।