সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে আরিফুল ইসলাম রাহাত খুনের ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।নিহতের চাচা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার রাত দুইটার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় এই মামলা করেন। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার।মামলার তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘রাহাতের চাচা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং বাকি সাতজনকে অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হচ্ছে।’তবে আসামিদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি ওসি।বাদীপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানা এলাকার সিলাম পশ্চিম পাড়ার সামসুদ্দোহা সাদীকে। অপর দুই আসামি হলেন একই এলাকার তানভীর আহমদ ও দক্ষিণ সুরমার তেতলি ইউনিয়নের মো. সানী।তাদের মধ্যে সাদী ছাত্রলীগ কর্মী। তিনি সিলেট ছাত্রলীগের কাশ্মীর গ্রুপের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। দক্ষিণ সুরমা কলেজের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। কলেজে পড়ার সময় একবার তাকে বহিষ্কারও করা হয়। বাকি দুজনও ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের ফটকের সামনে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় আরিফুল ইসলাম রাহাতকে।ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহাত দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরাতন তেতলি এলাকার সুরমান আলীর ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সেদিন একটি পালসার মোটরসাইকেলে করে দুই তরুণ এসে পেছন থেকে রাহাতকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে রাহাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে কী কারণে তাকে খুন করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।