বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্ম

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:২৮

যমজ শিশুর চাচা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই অনেকদিন প্রবাসে ছিলেন। ৪-৫ বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ঢাকার একটি ওয়ার্কশপে অল্প বেতনে চাকরি করেন। সিনথিয়া ও নাদিয়া নামে তার দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে বুধবার তাদের যমজ দুটি সন্তান হয়। কিন্তু তাদের দুজনের পেছনের অংশ জোড়া লাগা।’

ঢাকার সাভারে জোড়া লাগা যমজ কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে।

চার দিন আগে জন্ম নেয়া নবজাতককে গত বুধবার রাজধানীর শ্যামলীতে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিশু দুটি সুস্থ থাকলেও তাদের মা কিছুটা অসুস্থ বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।

শুক্রবার রাতে নিউজবাংলার প্রতিবেদকের কাছে যমজ শিশু চাচা দেলোয়ার হোসেন ভিডিও ও ছবি পাঠান।

গত ১৮ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে সাভারের সুপার মেডিক্যাল হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে শিশু দুটির জন্ম হয়।

যমজ শিশুটির মা সাথী আক্তারের আগেও ১৫ ও ৮ বছরের দুটি মেয়ে রয়েছে। বাবা মো. সেলিম রাজধানীর একটি ওয়ার্কশপে চাকরি করেন।

সেলিম পরিবার নিয়ে সাভারের আশুলিয়ায় পলাশবাড়ী বাজার এলাকায় নুরুল ইসলামের ভাড়া বাড়িতে থাকেন।

দেলোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ভাই অনেকদিন প্রবাসে ছিলেন। ৪-৫ বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ঢাকার একটি ওয়ার্কশপে অল্প বেতনে চাকরি করেন।

‘সিনথিয়া ও নাদিয়া নামে তার দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে বুধবার তাদের যমজ দুটি সন্তান হয়। কিন্তু তাদের দুজনের পেছনের অংশ জোড়া লাগা।’

যমজ শিশু দুটির বাবা সেলিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৮ তারিখ সাভারের সুপার হাসপাতালে আমার স্ত্রীর দুইটা যমজ বাচ্চা হয়। পরে রাত ১২টার দিকে ঢাকার শ্যামলীতে শিশু হাসপাতালে পাঠায়। শিশু হাতপাতাল থেকে পরে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। সেখানেও আইসিইউ নাই জানিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরে শিশু হাসপাতালে এনে ভর্তি করি।’

জোড়া লাগানো শিশুকে আলাদা করা যাবে কি না জানেন না সেলিম। এরই মধ্যে তার অনেক টাকা খরচ হয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘সুপার হাসপাতালে ৫০-৬০ হাজার টাকা বিল দিছি। আর শিশু হাসপাতালে এই কয় দিনে আরও ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হইছে।’

শিশুদের চিকিৎসা নিয়ে শঙ্কিত এই বাবা বলেন, ‘আত্মীয়স্বজনদের কাছে সহযোগিতা নিয়ে এই টাকা পরিশোধ করছি। এখন এই অবস্থা হলে আমার বাচ্চা দুইটার চিকিৎসা করাব কীভাবে? শেষ পর্যন্ত আমার বাচ্চা দুইটার কপালে কী আছে জানি না।’

এ বিভাগের আরো খবর