বাবাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানায় ঢুকে ফেসবুকে লাইভ করে বিষপান করা সেই ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার রাসেল ইকবাল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক। তিনি বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নের মনছুরিয়া বাজার এলাকার সিদ্দিক আহমদের ছেলে।
গত বুধবার বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের মনছুরিয়া বাজার সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মারামারিতে দুজন নিহত ও তিনজন আহত হয়। ঘটনার পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিদ্দিক আহমদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।
সেদিন বিকেলে গ্রেপ্তার ব্যক্তির ছেলে রাসেল ইকবাল বাবাকে আটকের প্রতিবাদে থানায় ঢুকে ফেসবুকে লাইভে গিয়ে বিষপান করেন। এ ঘটনায় বাঁশখালীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
বিষপানের পর থেকে চিকিৎসাধীন থাকা রাসেলকে শুক্রবার গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। তিনি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তাকে পুলিশ আবদুল খালেক ও সুলতান মাহমুদ টিপু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখায়।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক রাসেল ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করলেও নিহতদের পরিবারের দাবি, রাসেল ও তার লোকজনের হাতেই খুন হয়েছেন আবদুল খালেক ও সুলতান মাহমুদ টিপু।
পুলিশ জানায়, মামলা থেকে বাঁচতেই রাসেল বিষপান ও আত্মহত্যার অভিনয় করেন।
তবে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়ার পরই গ্রেপ্তার করা হেছ বলে দাবি করেছে পুলিশ।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, ‘রাসেলকে শুক্রবার গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। চিকিৎসা শেষ হলে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাসেল ইকবাল ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সাক্ষী-প্রমাণও পাওয়া গেছে। তিনি পুলিশকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে থানায় ঢুকে আত্মহত্যার অভিনয় করেন। তবে কাজ হয়নি। এই মামলায় আরও সাক্ষী ও প্রমাণ সংগ্রহ এবং তদন্ত চলছে।’