বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মনের ক্ষত কি শুকাবে কাকা’

  •    
  • ২২ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:৫৩

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, হিন্দুপল্লিতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬১ পরিবারকে ১০১ বান্ডিল ঢেউটিন দেয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ৬১ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে ১৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া শুকনা খাবার, কম্বল, শাড়ি ও লুঙ্গি দেয়া হয়েছে। তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। 

‘ঘরে যা ছিল সব ভেঙে গেছে, পুড়ে গেছে। এখন টিন দিয়েছে, টাকা দিয়েছে, তা দিয়ে ঘর বানাইছি, ঠিকঠাক করেছি। যতই বলেন কাকা, ওই কথা কি ভোলা যায়, মনের ক্ষত কি শুকাবে?’

কথাগুলো রংপুরের পীরগঞ্জের রামনাথপুর উত্তর হিন্দুপাড়ার রুবিনাস চন্দ্র দাসের। গত রোববার রাতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় তার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়।

শুধু রুবিনাস নয়, পাঁচ দিন ধরে ভয়াবহ মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন পুরো হিন্দুপাড়ার বাসিন্দারা। সরকারি সহায়তায় বাড়িঘর ঠিক করতে পারলেও ভীতি কাটেনি তাদের এখনও।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাড়িঘরগুলোতে এখনও পোড়া দাগ রয়েছে। পুড়ে যাওয়া গাছগুলো শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।

তার মধ্যেই চলছে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর মেরামতের কাজ। এতে কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সেখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি। তবে এখনও আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার চাদরে রয়েছে হিন্দুপল্লিটি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ওই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬১ পরিবারকে ১০১ বান্ডিল ঢেউটিন দেয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ৬১ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে ১৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া শুকনা খাবার, কম্বল, শাড়ি ও লুঙ্গি দেয়া হয়েছে। তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

পল্লির অনিতা রানী বলেন, ‘সংসারে ৩০ হাজার টাকা আচিল। দেড় ভরি সোনা ছিল। ২০ হাজার ট্যাকা পাইচি। কপাল তো নিয়ে যায় নাই…। ঘরটা ঠিক করোচি। টিওনো (ইউএনও) স্যার আসি কইচে ঘর ঠিক করবের। ঠিক করছি।’

সুপথ বলেন, ‘সকালে কামলা নিচি, বাঁশ কিনচি। ঘর ঠিক করোছি। এ্যালা ভালো আচি। ভয়টয় নাগোচে না।’

ওপিন চন্দ্র বলেন, ‘বাড়িঘর সরকারে ঠিক করি দেওচে, হামরা আস্তে আস্তে ঠিক করমো। অনেকে আসোচে, মেলা কিচু দেওচে।’

দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে গাছও। ছবি: নিউজবাংলা

পল্লিবাসী জানিয়েছেন, সরকারিভাবে বাড়িঘর মেরামত করতে শুক্রবার দেড় শ শ্রমিক কাজ করছেন।

ওপিন চন্দ্রের বাড়ি মেরামত করছিলেন আব্দুর রহিম। তিনি জানান, তারা ৪৯ জন একসঙ্গে কাজ করছেন। অন্য পাশে আরও দুটি দল রয়েছে।

রামনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম জানান, এখন কোনো অসুবিধা নেই। প্রতিদিন বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি উদ্যোগেও সহযোগিতা করা হচ্ছে।

রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৩ জনকে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে। এখন কোনো সমস্যা নেই।

এ বিভাগের আরো খবর