বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বীর মুক্তিযোদ্ধার দোকান দখল করে ‘নির্বাচনি ক্যাম্প’

  •    
  • ২২ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:১৭

অভিযোগকারী নুরুল ইসলাম মাস্টারের ভাই হুমায়ূন কবির উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের আশায় আছেন। দোকান দখলের অভিযোগ উঠা ওই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী মাহমুদুল আলম বাবুও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।

জামালপুরের বকশিগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধার দোকান দখল করে নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

তবে ওই চেয়ারম্যানের দাবি, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। অভিযোগকারী দোকান মালিকের ভাইও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান। তাই তার নামে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগকারী নুরুল ইসলাম মাস্টারের ভাই হুমায়ূন কবির উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের আশায় আছেন। দোকান দখলের অভিযোগ উঠা ওই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী মাহমুদুল আলম বাবুও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।

অভিযোগকারী নুরুল ইসলাম মাস্টার জানান, কামালেরবার্ত্তী বাজারে আধাপাকা ঘরটিতে সরকারিবিধি মোতাবেক ১৯৯৭ সাল থেকে মুদি দোকান চালিয়ে আসছিলেন তিনি। অসুস্থ থাকায় গত ৬ মাস ধরে দোকানটি বন্ধ রেখেছেন তিনি। এই সুযোগে বুধবার ভোরে মাহমুদুল আলম বাবু ৫০ থেকে ৬০ জন লোক নিয়ে দোকানের তালা ভেঙে দখল করে নির্বাচন অফিস স্থাপন করেন।

তিনি আরও জানান, দোকান দখলের খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ফিরে আসেন। দোকানে অল্প কিছু মালপত্র থাকায় বেশি ক্ষতি হয়নি।

ঘটনার দিনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনমুন জাহান লিজার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন বলেও জানান এ বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এ বিষয়ে চেয়ারমান মাহমুদুল আলম বাবু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘরটি সরকারের। মুক্তিযোদ্ধা অসুস্থ থাকায় গত ৪-৫ বছর ধরে সেটি বন্ধ। ঘরের চাল, দেয়াল সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে।

‘বুধবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ঘরটি খুলে ইউনিয়ন তাঁতী লীগের একটি অফিস দেয়। আমি শোনার পর ওই যুবকদেরকে শাসন করি। তাদের এই কাজ করা ঠিক হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি গত দুই দিন ধরে ভোরে জামালপুর যাই, মধ্য রাতে ফিরি। এলাকার সবাই জানে আমি কেমন। সত্য ঘটনা হচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধার ছোট ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় রাজনৈতিক কারণে আমার নামে অভিযোগ করেছে।’

‘নির্বাচনই শুরু হয় নাই, আমি এখনও মনোনয়ন পাইলাম না। তাহলে কীভাবে নির্বাচনের অফিস দিব।’

এসব বিষয়ে বকশিগঞ্জের ইউএনও মুনমুন জাহান লিজা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মাস্টারের অভিযোগ পাওয়ার পর দোকানটি উপজেলা প্রশাসন নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। বিষয়টি তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর