তিস্তা মেগা প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। তবে প্রকল্পের পরিধি বড় হওয়ায় কাজ শুরুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পের ডিজাইন ও প্রজেক্ট প্রোফাইল কমপ্লিট করা হয়েছে। আপনারা জানেন প্রজেক্টটি অনেক বড়। এই অঞ্চলের (উত্তরাঞ্চল) তিস্তাপারের মানুষজনের জীবনমানের উন্নতি হবে। তবে কবে থেকে কাজ শুরু হবে, তার সিদ্ধান্ত হয় নাই।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাটের ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশাম এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী এনামুর।
তিনি আরও বলেন, ‘ভাঙনকবলিত কুড়িগ্রামসহ চারটি জেলায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরকার বন্যার্ত ও ভাঙনকবলিতদের দুর্দশা লাঘবে কাজ করছে। এই চার জেলার প্রতিটিতে ৫০ টন চাল, পাঁচ লাখ টাকা, চার হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট, পশুখাদ্যের জন্য আরও দুই লাখ টাকা এবং এক শ বান্ডিল করে ঢেউটিন বরাদ্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বন্যার্ত ও নদীভাঙনের শিকার প্রতিটি পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান
পরিদর্শন শেষে গতিয়াশাম এলাকার সরিষাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভায় যান প্রতিমন্ত্রী।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসীন, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দা জান্নাত আরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলী, রাজারহাট উপজেলা পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নূরে তাসনীম এবং ঘড়িয়াল ডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার।
সভা শেষে ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল, এক কেজি করে চিড়া এবং আধা কেজি করে ডালসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
তিস্তা নদীর ভাঙনে রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ৮৬৫টি, ছিনাইয়ের ১২২টি এবং বিদ্যানন্দের ৩০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।