প্রথম দুই প্রান্তিকের চমক তৃতীয় প্রান্তিকে ধরে রাখতে না পারলেও তিন প্রান্তিক মিলিয়ে আয়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখল সিটি ব্যাংক।
গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৯৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ২ টাকা ৮৯ পয়সা।
অর্থাৎ আয় বেড়েছে ২.৯৭ শতাংশ।
নিঃসন্দেহে ভালো। তবে দ্বিতীয় প্রান্তিক জুন পর্যন্ত হিসাব বিবেচনায় নিলে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হতাশ হতে পারেন।
অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৬ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ছিল। অর্থাৎ আয় বাড়ে ১০৬ শতাংশ।
তৃতীয় প্রান্তিকে আয় খুব খারাপ, এমনটা বলার সুযোগ নেই। এই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯০ পয়সা। তবে আগের বছরের একই সময়ের হিসাব বিবেচনায় নিলে হতাশ হতেও পারে।
গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ১ টাকা ৮৯ পয়সা। অর্থাৎ জুন পর্যন্ত শতভাগ আয় বাড়ানো ব্যাংকটি তৃতীয় প্রান্তিকে এসে আয় করেছে আগের বছরের ৫০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পর প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যাংকটির সম্পদমূল্যও বেড়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ৩০ টাকা ১১ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর এই সম্পদ ছিল ২৭ টাকা ৬৫ পয়সা।
সম্পদমূল্যের চেয়ে কম দামে লেনদেন হওয়া ব্যাংকটি ২০২০ সালে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ২৯ পয়সা আয় করে ১ টাকা ৭৫ পয়সা নগদ ও ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ২০টি শেয়ারে একটি বোনাস শেয়ার দিয়েছিল।
প্রান্তিক প্রকাশের দিন সিটি ব্যাংকের শেয়ারদর ছিল ২৮ টাকা ২০ পয়সা।
গত এক বছরে ব্যাংকটির শেয়ারদর ২১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে।
করোনার মধ্যেও গত বছর ব্যাংক খাত অভাবনীয় আয় করে আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। চলতি বছর অর্ধবার্ষিকে বেশিরভাগ বাংকই আয় আগের বছরের চেয়ে বাড়াতে পেরেছে। তৃতীয় প্রান্তিকেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট চারটি ব্যাংকের তৃতীয় প্রান্তিকের আয় প্রকাশ পেল। এর মধ্যে শুরু থেকেই লোকসানে থাকা আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবারও লোকসানের বৃ্ত্তেই আছে। শেয়ারদরে গত এক বছরে উল্লম্ফন হলেও কোম্পানিটি লোকসান কমাতে পারেনি, উল্টো বেড়েছে।
অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে এসসিসি ব্যাংক ২৩ শতাংশ এবং ইসলামী ব্যাংক ১৬ শতাংশ আয় বাড়াতে পেরেছে।