বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিস্তার ঢলে মহাসড়কে ভাঙন, দুর্ভোগ

  •    
  • ২২ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:৫৭

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভারত থেকে আসা উজানের ঢলে তিস্তার পানি বুধবার সকালে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেটই খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করে তারা। সব গেট খুলে দেয়ায় প্রবল স্রোতে তিস্তাপাড়ের পাকা রাস্তা ও ঘরবাড়ি ভাঙনের মুখে পড়ে।

তিস্তার প্রবল স্রোতে লালমনিরহাটের কাকিনা-মহিপুর-রংপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক ভেঙে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েকটি উপজেলার বাসিন্দারা। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তারা অনেকটা বন্দি হয়ে পড়েছেন।

তিস্তায় বুধবার আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পেলে দুই পাশ প্লাবিত হয়। প্রবল স্রোতে বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার রুদ্রেশ্বর মিলন বাজার এলাকায় মহাসড়কটিতে ভাঙন দেখা দেয়।

এতে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলা ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর সঙ্গে রংপুরের গঙ্গাচড়া ও হারাগাছ এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই মহাসড়ক দিয়ে সহজেই রংপুরে যাতায়াত করতেন তারা। চিকিৎসাসহ নানা কাজে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ এই সড়কে যাতায়াত করেন।

বিশেষ করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটি উত্তরবঙ্গের একমাত্র আধুনিক হাসপাতাল হওয়ায় প্রতিদিন শত শত রোগী এই মহাসড়কটি দিয়ে যাতায়াত করেন। ভাঙনের কারণে এখন রোগীদের নিয়ে লালমনিরহাট শহর হয়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভারত থেকে আসা উজানের ঢলে তিস্তার পানি বুধবার সকালে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেটই খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করে তারা। সব গেট খুলে দেয়ায় প্রবল স্রোতে তিস্তাপাড়ের পাকা রাস্তা ও ঘরবাড়ি ভাঙনের মুখে পড়ে।

দেলোয়ার নামে একজন বলেন, ‘আমার মেয়েটিকে সিজার করতে হবে, কিন্তু রাস্তা ভাঙার কারণে যেতে পারছি না। পুলিশও যেতে দিচ্ছে না। তাই দুজন দুই হাত ধরে হেঁটে যেতে হচ্ছে।’

আমেনা বেগম নামে আরেকজন বলেন, ‘আমি অসুস্থ। আজ ডাক্তার দেখাব, কিন্তু রাস্তা ভাঙার কারণে হেঁটে যেতে হচ্ছে প্রায় এক কিলোমিটার। খুব বিপদে পড়েছি।’

সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকে হেঁটেই যাতায়াত করছেন

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বন্যা এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ করছি। হঠাৎ করে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা হতভম্ব হয়ে পড়ি। আবার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙন দেখা দিচ্ছে। জিও ব্যাগ ফেলাসহ বিভিন্নভাবে ভাঙন রোধে কাজ করছি আমরা।’

লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই রোডটি দিয়ে রংপুর-লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার লোকজন যাতায়াত করেন। এটি একটি ব্যস্ততম রোড।

‘তবে হঠাৎ করে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে যায়। এতে এই মহাসড়কটি পানির চাপে ভেঙে যায়। আমরা রোডটি সংস্কারে কাজ করায় আপাতত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর