বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১০ টাকার শেয়ারে ১৪ টাকা লোকসান

  •    
  • ২১ অক্টোবর, ২০২১ ২২:০১

তিন মাস আগে থেকে কোম্পানিটির শেয়ারদরে উত্থান ঘটে। গত ২৬ জুন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৫ টাকা ৫০ পয়সা। সেখান থেকে টানা বাড়তে বাড়তে গত ৭ সেপ্টেম্বর গিয়ে দাঁড়ায় ১১ টাকা ৭০ পয়সা। পরদিন থেকে শুরু হয় দরপতন। ৫ সপ্তাহের ব্যবধানে সর্বোচ্চ দর থেকে শেয়ারদর কমেছে ৪ টাকা ২০ পয়সা।  

পর্ষদ পুনর্গঠনের খবরে শেয়ারদরে লাফ দিয়ে হাজারো বিনিয়োগকারীর টাকা আটকে যাওয়া ফাস ফাইন্যান্সের ২০২০ সালের আর্থিক হিসাব চরমভাবে হতাশা করেছে বিনিয়োগকারীদেরকে।

অর্থবছর শেষ হওয়ার ১০ মাস পর ডাকা পর্ষদ সভা শেষে জানানো হয়েছে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১৪ টাকা ৬১ পয়সা লোকসান হয়েছে কোম্পানিটির। বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভা শেষে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশও ঘোষণা করা হয়নি।

আলোচিত ব্যাংকার পি কে হালদার কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া কোম্পানিটিকে টেনে তুলতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে। এরই মধ্যে একটি বড় কোম্পানিকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এর দায়িত্ব নিতে। তবে সেই কোম্পানিটি কোনো আগ্রহ দেখায়নি।

তবে এই প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে তিন মাস আগে থেকে কোম্পানিটির শেয়ারদরে উত্থান ঘটে। গত ২৬ জুন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৫ টাকা ৫০ পয়সা। সেখান থেকে টানা বাড়তে বাড়তে গত ৭ সেপ্টেম্বর গিয়ে দাঁড়ায় ১১ টাকা ৭০ পয়সা।

পরদিন থেকে শুরু হয় দরপতন। ৫ সপ্তাহের ব্যবধানে সর্বোচ্চ দর থেকে শেয়ারদর কমেছে ৪ টাকা ২০ পয়সা।

যখন শেয়ারদর বাড়ছিল, তখন তাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। বিপুল সংখ্যক শেয়ার কেনাবেচা হতে থাকে। আর বেশি দামে শেয়ার কিনে আটকা পড়েছেন হাজার হাজার বিনিয়োগকারী।

যখন দাম বাড়ছিল, তখন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, কোম্পানির লোকসান কমে আসবে। কিন্তু দেখা গেছে উল্টো চিত্র। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৮ টাকা ৫৪ পয়সা। পরের তিন মাসে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৬ টাকা ৭ পয়সা।

২০১৯ সালে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১০ টাকা ১২ পয়সা লোকসান দিয়েছিল পি কে হালদার কেলেঙ্কারির কারণে।

পরপর দুই বছর বড় লোকসান দেয়ার কারণে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য শূন্য হয়ে উল্টো ঋণাত্মক হয়ে গেছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর শেয়ার প্রতি দায় দাঁড়ায় ১৯৯ টাকা ৭০ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ১৬৯ টাকা ৪০ পয়সা।

কোম্পানিটির লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ নভেম্বর। আগামী ৩০ নভেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর