দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মুখ চুপসে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো তারা পাশের দেশের সঙ্গেও সম্পর্ক নষ্ট করতে চেয়েছিল। কোরআন শরিফ যে একজন মুসলমান যুবক রেখেছিল, সেটি তো তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। সে ধরা পড়লে বোঝা যাবে কার ইন্ধনে এটি করেছে। এটিই তো ঘটনার সূত্রপাত। যখন সবকিছু বেরিয়ে আসবে, তখন মির্জা ফখরুল ইসলামের মুখটা চুপসে যাবে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি এ ঘটনার জন্য আবারও বিএনপি-জামায়াতকেই দায়ী করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর এই হামলা আসলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নয়, এটি বাংলাদেশের চেতনার মূল বেদিমূলের ওপর হামলা। এটি সরকারের ওপরও হামলা। কারণ এটি করে তারা সরকারকে দোষারোপ করতে চেয়েছিল। পাশাপাশি একটি সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমাদের যে ভালো সম্পর্ক, সেটি নষ্ট করতে চেয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দেশ যখন স্থিতিশীল, তখন আওয়ামী লীগ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক, সেটির ওপর কালিমা লেপনের হীন উদ্দেশ্যেই আজকের দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের সরকার দৃঢ়ভাবে সেটি দমন করেছে।
‘সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষার জন্য আমাদের দল অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে। তাদের উদ্দেশ্য হীন। তারা আরও এ ধরনের গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করবে। আমি নেতা-কর্মীদের অনুরোধ জানাব, আপাতত এই দুষ্কৃতকারীরা নিবৃত্ত হয়েছে মনে হলেও আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, তারা দেশে হানাহানি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে। কিছুটা সফল হয়েছে, আরও চেষ্টা চালাবে। দলের নেতা-কর্মীদের হিন্দু সম্প্রদায় ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পাশে থাকার অনুরোধ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে আমরা মনে করি কেউ সংখ্যালঘু নয়। সবার রক্তস্রোতের বিনিময়ে এ দেশ অর্জিত হয়েছে। এ দেশ সবার। ধর্ম যার যার দেশ সবার। সেই চেতনায় আমরা বিশ্বাস করি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জোট থেকে অনেকে পালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দল থেকেও অনেকে বের হয়ে গেছে। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতি অবশ্যই সরকার চায়। যেকোনো সরকারের সেটিই কামনা। এ দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে বিএনপি-জামায়াত।’
তিনি বলেন, ‘ভোট এলে ভারতবিরোধী স্লোগান কারা দেয়? বিএনপি। হিন্দু সম্প্রদায়কে ভোটকেন্দ্রে যেতে বারণ কারা করে? এই বিএনপি-জামায়াতই করে।’