২০২২ সালের শুরুতেই বাংলাদেশে আসছেন ঢাকায় নিয়োগ পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। ক্রমেই অর্থনৈতিক শক্তিতে বদলাতে থাকা বাংলাদেশের সঙ্গে ‘বাণিজ্যিক কূটনীতি’ মজবুত করতে গত জুলাইয়ে বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ পিটার ডি হাসকে চূড়ান্ত করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গত মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার।
মিলার জানান, পেশায় কূটনীতিক পিটার হাস বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে অর্থনীতি ও বাণিজ্যবিষয়ক উপসহকারী মুখ্য সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি এর আগে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের মুম্বাই মিশনে কাজ করেছেন।
এদিকে এই নিয়োগের পক্ষে বুধবার মার্কিন সিনেটে ফরেন রিলেশন্স কমিটির সদস্যদের সামনে বক্তব্য রাখেন পিটার ডি হাস। বক্তব্যে তিনি ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে ভূমিকা রাখা, রোহিঙ্গা পুনর্বাসন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুই দেশের বাণিজ্য অংশীদারত্ব বাড়ানোর ওপর জোর দেবেন বলে জানান।
সিনেট অনুমোদন দিলে বর্তমান রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারের স্থলাভিষিক্ত হবেন হাস। মিলার বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে শপথ নেন ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর।
সিনেটে দেয়া বক্তব্যে হাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রায় পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য বন্ধু এবং অংশীদার। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সমগ্র অঞ্চলকেই উপকৃত করবে। রাষ্ট্রদূত হলে আমি এমন নীতিমালা এগিয়ে নেব, যা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে উন্নত করবে এবং একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, পরস্পর সংযুক্ত, প্রতিরোধক্ষম ও নিরাপদ অঞ্চলে পরিণত করবে।’
হাস জানান, তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয় করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাজ অব্যাহত রাখবেন। এ ছাড়া সব রোহিঙ্গার মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার থাকবেন।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু এবং স্বাস্থ্য যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি পর্যবেক্ষণ করে তিনি বলেন, দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী এবং ক্রমবর্ধমান। এ বছর ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছতে সহায়তা করবে।’