ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক তিন মামলায় চার্জ শুনানির তারিখ পিছিয়ে ৮ নভেম্বর ঠিক করেছে আদালত।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে বৃহস্পতিবার চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইকবাল হোসেন চার্জ শুনানির পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন ৮ নভেম্বর।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় করা মামলা তিনটির চার্জ শুনানির জন্য জামিনে থাকা আসামি কাজল আদালতে উপস্থিত হন। তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেন।
কাজলের আইনজীবী জাহেদুর রহমান এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়াকে জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করায় গত বছরের ৯ মার্চ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ সাইফুজ্জামান শেখর। এরপর ১০ ও ১১ মার্চ হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়।
প্রথম মামলার পরই ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের হওয়ার পর পত্রিকাটির সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ হন। এ বিষয়ে পরদিন চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন। পরে ছেলে মনোরম পলক ১৮ মার্চ রাতে চকবাজার থানায় মামলা করেন কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে।
ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি। পরদিন বিজিবির করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হয়। পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
প্রায় সাড়ে আট মাস কারাভোগের পর গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান কাজল। তার বিরুদ্ধে করা তিন মামলায় পুলিশ আদালতে চার্জশিট দিয়েছে।