ভোটে অংশগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো ভূমিকা নেয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচনি আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রশ্নে কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। আর এসব নিয়ে আলোচনা করেও কোনো ফল পাওয়া যায় না। এটাই বাস্তবতা।’
এ সময় নির্বাচনি সহিংসতায় জগদল ইউনিয়নে চার খুনের ঘটনায় উদ্বেগ জানান সিইসি।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় নিরপরাধ কেউ যেন ভোগান্তির শিকার না হয় সেদিকে তদন্তসংশ্লিষ্টদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’
অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘প্রশাসন অনেক সময় একা সুষ্ঠু ভোট আয়োজন করতে পারে না। স্থানীয়দের সহযোগিতা লাগে। ভোট অবাধ করতে তাই জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের সম্পৃক্ততা থাকলে সহিংসতার ঘটনা এড়ানো যায়।’
স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার তাগিদ দিয়ে সিইসি আরও বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চন সরাসরি স্থানীয় প্রশাসন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ভোটে সহিংসতা এড়াতে তাদের নজরদারি বাড়াতে হবে। শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম, মাগুরা জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও জেলা নিবার্চন অফিসার ওলিউল ইসলাম।
নভেম্বরে খুলনা বিভাগের সব জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভোটের পর ২৮ নভেম্বর হবে তৃতীয় দফায় ভোট।