বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩০৬ কোটি টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা বেক্সিমকোর

  •    
  • ২১ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৪৮

৮৭৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৮৭ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৭৯টি। সাড়ে ৩ টাকা হারে কোম্পানিটি ৩০৬ কোটি ৭১ লাখ ১৬ হাজার ৭৬ টাকা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ বিতরণ করতে যাচ্ছে।

২০১০ সালের মহাধসের পর সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করলে পুঁজিবাজারে তুমল আলোচিত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৭ টাকা ৫৩ পয়সা আয় করে ৩ টাকা ৫০ পয়সা শেয়ারধারীদেরকে দিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।

৮৭৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৮৭ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৭৯টি। সাড়ে তিন টাকা হারে কোম্পানিটি ৩০৬ কোটি ৭১ লাখ ১৬ হাজার ৭৬ টাকা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ বিতরণ করতে যাচ্ছে।

গত সোয়া এক বছরে শেয়ার মূল্য ১২ গুণের বেশি বেড়ে যাওয়া কোম্পানিটির এই আয় ও লভ্যাংশ ২০১০ সালের মহাধসের পর সর্বোচ্চ।

সেই ধসের পরের বছর কোম্পানিটি ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল, যা কখনও এরপর ১৫ শতাংশের বেশি হয়নি। গত বছর শেয়ারে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ওই বছর শেয়ার প্রতি কোম্পানিটির আয় ছিল ৫১ পয়সা।

সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয় করেছিল ১৪ পয়সা।

কিন্তু পরের প্রান্তিক থেকে আয় বাড়তে থাকে। এই সময়ে কোম্পানিটি পোশাক রপ্তানিতে ব্যাপক আয় করে। আবার যুক্তরাষ্ট্রে পিপিই রপ্তানি করতে ৯০০ কোটি টাকায় পিপিই পার্ক করে বেক্সিমকো। এখান থেকে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার পণ্য নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

এর সুফল এরই মধ্যে পেয়েছে বেক্সিমকো। গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ৩০ পয়সা।

এর মধ্যে প্রতি প্রান্তিকেই আয় বাড়ছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৩৮ পয়সা।

অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ২৫ পয়সা।

কোম্পানিটির আয়ের পাশাপাশি শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্যও বেড়েছে। গত ৩০ জুলাই শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ৭৮ টাকা ২৮ পয়সার। আগের বছর একই সময়ে এই সম্পদ ছিল ৬৯ টাকা ৩৩ পয়সা।

কোম্পানিটির লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ঠিক করা হয়েছে ২২ নভেম্বর। অর্থাৎ সেদিন যাদের হাতে শেয়ার থাকবে, তারাই পাবে এই লভ্যাংশ। আগামী ২৩ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত হবে।

পিপিই পার্ক ছাড়াও আরও একটি কারণে বেক্সিমকোর শেয়ারদর ক্রমেই বাড়ছে। কোম্পানিটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেক্সি পাওয়ার দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কাজ পেয়েছে। এর মধ্যে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নে একটি ২৮০ মেগাওয়াট ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নির্মিত হচ্ছে ৫৫ মেগাওয়াটের আরও একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এর মধ্যে গাইবান্ধার কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে তিস্তা সোলার লিমিটেড আর পঞ্চগড়েরটি নির্মাণ করছে করতোয়া সোলার লিমিটেড নামে কোম্পানি। এই দুটি কোম্পানির ৭৫ শতাংশের মালিক বেক্সিমকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেক্সি পাওয়ার। বেক্সি পাওয়ারের ৭৫ শতাংশের মালিক আবার বেক্সিমকো লিমিটেড।

এই দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে উৎপাদনে আসবে।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের অর্থায়নের জন্য বেক্মিমকো তিন হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ছেড়েছে।

এই দুটি ঘটনায় বেক্সিমকোর শেয়ার দরে উল্লম্ফনের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিতে তাদের শেয়ারের হিস্যা বাড়িয়ে চলছিলেন।

গত জুলাই মাসে মোট শেয়ারের ৪.৬ শতাংশ হিসেবে ৪ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার ৬৬৮টি শেয়ার কেনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।

আগস্টে তা আরও বাড়ে। এই মাসে ৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬৬ হাজার ২৯৫টি শেয়ার কিনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিতে তাদের মালিকানা বাড়ায় ২৬ দশমিক ০৯ শতাংশ পর্যন্ত।

জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যখন বেক্সিমকোর চার কোটির বেশি শেয়ার কেনে, তখন এর দর ছিল ৮৯ থেকে ৯২ টাকার মধ্যে।

আগস্টে তারা যখন প্রায় ৭ কোটি শেয়ার কেনে, তখন এই দাম বেড়ে যায়। ৯১ টাকা থেকে ১১১ টাকা ৩০ পয়সায় গিয়ে দাঁড়ায় দর।

সেপ্টেম্বরে দাম বাড়ে আরও। এই সময়ে শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৭ টাকা ২০ পয়সা।

তবে এই সময়টায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নতুন শেয়ার না কিনে কিছু বিক্রি করেছে। আগের মাসের তুলনায় ০.৫৩ শতাংশ শেয়ার কমে এখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরের মালিকানা দাঁড়িয়েছে ২৫.৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ এই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার ৪৯০টি শেয়ার বিক্রি করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর