বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যায় শিক্ষককে দুষছেন স্বজনরা

  •    
  • ২১ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৪৪

এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান খ্রিস্টিন রিচার্ডসন বলেন, ‘শিক্ষকের হয়রানির বিষয়ে আমাকে তো কেউ অভিযোগ করেনি। এমন কিছু হওয়ার কথাও না। আমার জানা মতে, বিভাগের সব শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে ভালো ব্যবহার করেন।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া মেহজাবিন স্বর্ণার আত্মহত্যায় বিভাগের এক শিক্ষককে দায়ী করছেন নিহতের বোন ও সহপাঠিরা।

গত বুধবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পলাশপোল মধুমাল্লার ডাঙ্গী গ্রামে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন স্বর্ণা।

এ ঘটনায় নিহতের বোন সাদিয়া মেহজাবিন সাথী আক্তার ও একাধিক সহপাঠি এক শিক্ষককে দায়ী করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন।

নিহত স্বর্ণার বোন সাথী বলেন, ‘আমার বোন খুবই ভালো ছিল। পড়াশুনায়ও ভালো ছিল। কিন্তু বিভাগের এক শিক্ষক ওকে ভালো নাম্বার দিতেন না। তা ছাড়া বুধবার রাতেই ওর ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সে যেতে চাচ্ছিল না, ফলাফল আবারও খারাপ হবে এই ভয়ে।’

সাথী আরও বলেন, ‘আমার বোন একটি বিষয়ে ২ মাস আগে এসাইনমেন্ট দিয়েছিল বিভাগের শিক্ষক আয়শা সালেহকে। কিন্তু তিনি সেটি হারিয়ে ফেলেন। ২ মাস পরে তিনি আবারও ওই এসাইনমেন্ট চান মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে। ততদিনে স্বর্ণাও এটা হারিয়ে ফেলেছিল। সেই শিক্ষকের কোর্সে সে ২০ নম্বরের মধ্যে মাত্র ৬ পেয়েছিল। এতেই তার ডিপ্রেশন বেড়ে যায়।’

সাথী জানান, স্বর্ণার এসাইনমেন্ট নিয়ে বন্ধুরা ভালো ফলাফল করলেও তার নম্বর সবসময়ই কম থাকে। বিভাগের শিক্ষকদের কয়েকজন তার পোশাক নিয়েও কথা বলতেন।

নিহতের একাধিক সহপাঠী জানান, বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে ‘দেখে নেয়ার প্রবণতা’ ছিল অনেক বেশি। এজন্য অজানা কারণে স্বর্ণার ফলাফল খারাপ হতো।

সহপাঠীরা দাবি করেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ ছিল স্বর্ণা। কিন্তু তার ফলাফল সবসময়ই খারাপ হতো। এজন্য তিনি ডিপ্রেশনে ছিলেন। বিশেষ করে ‘ফিসক্যাল ল’ বিষয়ে বরাবরই কম নম্বর পেতেন তিনি। এ জন্যই স্বর্ণা আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা তাদের।

এসব বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান খ্রিস্টিন রিচার্ডসন বলেন, ‘শিক্ষকের এমন হয়রানির বিষয়ে আমাকে তো কেউ অভিযোগ করেনি। এমন কিছু হওয়ার কথাও না। আমার জানা মতে, বিভাগের সব শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে ভালো ব্যবহার করেন।’

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক আয়েশা সালেহ বলেন, ‘আমার কোর্সে সে ২০-এর মধ্যে ৮ পেয়েছে। সে অন্যান্য শিক্ষকের পরীক্ষাতেও খারাপ করেছে। তার সঙ্গে আমার কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। তা ছাড়া তার পোশাক নিয়েও আমি কোনো কথা বলিনি। যারা এসব কথা বলছেন তারা আবেগে বলছেন।’

আয়েশা সালেহ জানান, ‘ফিসক্যাল ল’ বেশ কঠিন একটি বিষয়। এটায় অঙ্ক আছে। তাই অনেকে খারাপ করেন।

স্বর্ণার মৃত্যুর বিষয়ে সাতক্ষীরা থানার উপ-পরিদর্শক শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘সদর হাসপাতাল থেকে বেলা দুইটার দিকে আমাদের স্লিপ দেয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা গিয়েছি। পরিবার থেকে আমাদের জানিয়েছে, গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমাদের তারা আর কিছু জানায়নি। ময়নাতদন্তের পর এখন দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর