ভারত থেকে করোনার টিকা আমদানিতে লোকাল এজেন্ট হওয়ার সুবাদে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মার আয় বাড়ার পর বেড়েছে লভ্যাংশও।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ১১ টাকা ৪৯ পয়সা আয় করে শেয়ারধারীদেরকে ৩ টাকা ৫০ পয়সা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
আগের বছর কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৮ টাকা ৬৭ পয়সা আয় করে দেড় টাকা নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ১০টি শেয়ারে একটি বোনাস দিয়েছিল। পরে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয় শেষে আয় দাঁড়ায় ৭ টাকা ৬৭ পয়সা।
কোম্পানিটির এই আয় গত ছয় বছরে সর্বোচ্চ।
২০১৬ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৭ টাকা ৬৩ পয়সা। পরের বছর তা কমে দাঁড়ায়ি ৫ টাকা ৪৯ পয়সা।
২০১৮ সালে আয় বেড়ে হয় ৬ টাকা ২৫ পয়সা, ২০১৯ সালে তা আরও খানিকটা বেড়ে হয় ৭ টাকা ৪৮ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয়ের পাশাপাশি সম্পদমূল্যও বেড়েছে। গত ৩০ জুন শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৮৩ টাকা ১ পয়সা। আগের বছরের জুনে যা ছিল ৮০ টাকা ১২ পয়সা।
এই লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ নভেম্বর। অর্থাৎ সেদিন যাদের হাতে শেয়ার থাকবে, তারাই পাবে লভ্যাংশ। আগামী ২৩ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় লভ্যাংশ চূড়ান্ত হবে।
গত এক বছরে পুঁজিবাজারে যেসব কোম্পানির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, তার একটি এই কোম্পানিটি।
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ করোনার টিকা আমদানিতে মধ্যস্ততা করা বেক্সিমকো ফার্মা টিকাপ্রতি এক ডলার করে সরকার থেকে পাওয়ার কথা। তবে ভারত থেকে সব টিকা আসতে না পারায় পুরো আয় এই অর্থবছরে হয়নি কোম্পানিটির।
এই চুক্তির আলোচনা শুরু হওয়ার আগে আগে গত বছরের জুনে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬০ টাকার ঘরে ছিল। তবে চুক্তি হওয়ার পর তা ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
এর মধ্যে বহুজাতিক কোম্পানি সানোফি বাংলাদেশের প্রায় ৫৫ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করে বেক্সিমকো ফার্মা। এই খবরে শেয়ারদর আরও বেড়ে এক পর্যায়ে ২৫৫ টাকা ৪০ পয়সা হয়ে যায়। পরে অবশ্য তা কিছুটা কমে হয়েছে ২২৯ টাকা ৬০ পয়সা।