কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে দেশের উপজেলা পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসাসেবা পৌঁছে গেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এ সেবা আধুনিকায়নের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় নেয়া সম্ভব হয়েছে। এ কারণে দেশে অন্ধত্বের হার ৩৫ শতাংশ কমে গেছে।
বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল আই কেয়ার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
অন্ধত্ব নিবারণ ও দৃষ্টি রক্ষার উদ্দেশ্যে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘তোমার চোখকে ভালোবাসো’।
অন্ধত্ব কমে যাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সুচিকিৎসার কারণে চিরতরে অন্ধত্ব থেকে মানুষ মুক্তি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রতিটি বিভাগের হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন করা হয়েছে। চক্ষুসেবার জন্য বাজেটও বাড়ানো হয়েছে। আগামীতে আরও বাজেট বাড়বে।
তিনি বলেন, ‘সকল প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশে অন্ধত্বের হার ৩৫ শতাংশ কমে এসেছে। এটা অনেক বড় একটি বিষয়। একই সঙ্গে চোখে ছানি পড়া রোগীর সংখ্যা কমেছে। সেই রোগীর হার কমে এসেছে ১৪ শতাংশে। এটা অনেক বড় বিষয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চোখের রোগ প্রতিরোধে আমাদের প্রতিনিয়ত সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে। ভিটামিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। বেশি সময় নিয়ে যারা কম্পিউটার ও ল্যাপটপ দেখেন, তাদের চোখ দ্রুত ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
‘তাই এ বিষয়ে এখনই সচেতন হতে হবে। চোখ স্বাভাবিক রয়েছে কি না জানতে প্রতিবছর একবার হলেও চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।’
চোখের ক্ষতি রোধে করণীয়
অনুষ্ঠানে চোখের ক্ষতি কেন হয়, তা জানিয়েছেন জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘অনেক কারণে চোখের অসুখ দেখা দেয়। তার মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ভিটামিনের অভাব, সময়মতো চিকিৎসা না নেয়া এবং অসচেতনতা রয়েছে। এসব কারণে মূলত চোখের সমস্যা দেখা দেয়।
‘এসব বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। বিষয়গুলো ভালোভাবে গুরুত্ব দিলে মানুষের অন্ধত্ব হার আরও কমে আসবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় এই সেবা দেয়ার ব্যবস্থা আমরা পর্যায়ক্রমে করে দেব। ইতিমধ্যে আরও ৯০টি ভিশন কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। আমরা হাজার হাজার ভিশন কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন করব।
‘এই লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এক বছরে কমিউনিটি সেন্টারের আওতায় ইতিমধ্যে ৬ লাখ মানুষ সেবা নিয়েছে। আমি মনে করি, এটা আরও বাড়ুক। এই সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাক।’