বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেসবুক লাইভে স্ত্রীকে হত্যায় মৃত্যুদণ্ড

  •    
  • ২১ অক্টোবর, ২০২১ ১২:১৯

ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বারাহিপুর এলাকা ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল ফেসবুকে লাইভে এসে স্ত্রীকে হত্যা করেন টুটুল।

ফেনী শহরের বারাহিপুর এলাকায় ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে আসামি ওবায়দুল হক টুটুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম জেবুন্নেছা বৃহস্পতিবার দুপুরে এই রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহমদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দাম্পত্য কলহের জেরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন স্বামী টুটুল।

২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটে।

ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বারাহিপুর এলাকার টুটুল এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের তাহমিনার বিয়ে হয় প্রায় পাঁচ বছর আগে। তাদের একমাত্র সন্তানের বয়স ঘটনার সময় ছিল দেড় বছর।

ঘটনার দিন ফেসবুকে লাইভে এসে টুটুল জানান, পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করছেন। শিশুকন্যাকে দেখভালের জন্য তিনি সবার কাছে অনুরোধ করেন এবং হত্যার ঘটনার জন্য মাফও চান।

এরপর তাহমিনাকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। এ ঘটনায় তাহমিনার বাবা সাহাব উদ্দিন ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার করা হয় টুটুলকে।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর টুটুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি শুরু হয় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। ১৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া শেষে বৃহস্পতিবার এই রায় দেয় আদালত।

রায় ঘোষণার পর নিহত তাহমিনার বাবা সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘ন্যায়বিচার পেয়েছি... সরকারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

এই মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু। তিনি নোয়াখালীর আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলারও আইনজীবী ছিলেন। তাহমিনা হত্যা মামলা নিজ খরচে তিনি পরিচালনা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘অল্প সময়ে মামলাটির বিচারকাজ শেষ হয়েছে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। আমরা সুবিচার পেয়েছি। মাত্র ৬০ কার্যদিবসে এই হত্যার বিচার হয়।’

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার জানান, সুবিচার হয়নি। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর