শিক্ষাঙ্গনসহ দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে এক যুগ আগে দেয়া উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় রিট করা হয়েছে।
রিটে রায় বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং রায় বাস্তবায়নের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি রায় বাস্তবায়নের একটি প্রতিবেদন জমার নির্দেশ চাওয়া হয়েছে।
রিট করার বিষয়টি বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করে আইনজীবী শাহীনুজ্জামান বলেন, এক যুগ আগের দেয়া রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে এ রিট করা হয়েছে।
রিটে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বার কাউন্সিল ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ছাড়াও ৪০টি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারী এ আইনজীবী জানান, ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে দিকনির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদন করেছিলেন। ওই রিটের শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ওই রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু এক যুগেও এ রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে ফের রিট করা হয়।