যথাযথ ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে একই দিনে তিনটি ধর্মের তিনটি উৎসব পালিত হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে একই দিনে তিনটি ধর্মীয় উৎসব পালিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি এবং আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এটাই সম্প্রীতির বাংলাদেশ।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাসাবো ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে ফানুস ওড়ানোর অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘আজকে একটি বিশেষ দিন। এদিনটি তিনটি ধর্মের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। মুসলমানেরা পালন করছেন ঈদে মিলাদুন্নবী। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পালন করছেন লক্ষ্মীপূজা। আর বৌদ্ধ সম্প্রদায় পালন করছেন প্রবারণা পূর্ণিমা।’
তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিকভাবেই তিনটি সম্প্রদায়ের তিনটি ধর্মীয় উৎসব এক দিনে পড়েছে। এ ঘটনা আমাদের হাজার বছরের যে অসম্প্রদায়িকতা, মানবসত্ত্বা এক ও অভিন্ন সেটি সারা পৃথিবীর মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিল। যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কোনো ভেদাভেদ নেই। এটাই সম্প্রীতির বাংলাদেশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘হযরত মুহাম্মদ (সা.) শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এসেছিলেন। একইসঙ্গে মহামতি গৌতম বুদ্ধ, তিনিও শান্তি প্রতিষ্ঠার বাণী দিয়েছেন।’
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘গত কয়েকদিন বিভিন্ন জায়গায় যে সহিংসতা দেখেছি, আমরা সেই জায়গায় আর ফিরে যেতে চাই না। তিনটি ধর্মের উৎসব এক দিনে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হচ্ছে।
যারা ধর্মের নামে সহিংসতা করতে চায়, সেই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
পরে প্রবারণা বৌদ্ধ পূর্ণিমায় ফানুস ওড়ানো উদ্বোধন করেন তিনি। এর আগে এ দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই বৌদ্ধ মন্দিরে ভিক্ষু সংঘের প্রাতরাশ, মঙ্গলসূত্র পাঠ, বুদ্ধপূজা, পঞ্চশিল ও অষ্টাঙ্গ উপসথ শিল গ্রহণ, মহাসংসদান, অতিথি আপ্যায়ন, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ, আলোচনা সভা, প্রদীপ পূজা, আলোকসজ্জা, বিশ্বশান্তি কামনায় সম্মিলিত বুদ্ধোপাসনা আয়োজিত হয়। সন্ধ্যায় ফানুস ওড়ানো হয়।
সারা দেশে একইদিনে উদযাপিত হয়েছে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদের মিলাদুন্নবী, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের লক্ষ্মীপূজা আর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পালন করেছেন প্রবারণা পূর্ণিমা।