জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া মেহজাবিন স্বর্ণার আত্মহত্যার তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পলাশপোল মধুমাল্লার ডাঙ্গী গ্রামে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ নিয়ে আগস্ট থেকে চতুর্থ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জে বাড়ির পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় জগন্নাথের ছাত্র অমিতোষ হালদারের মরদেহ। তিনিও আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৩ সেপ্টেম্বর বাড্ডার একটি ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অষ্টম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী চন্দন পার্সি।
২৩ আগস্ট উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের একটি কোচিং সেন্টারের কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিজবাহ উল আজিমের মরদেহ।
স্বর্ণার মৃত্যুর বিষয়ে সাতক্ষীরা থানার সাব-ইনস্পেক্টর শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘সদর হাসপাতাল থেকে বেলা দুইটার দিকে আমাদের স্লিপ দেয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা গিয়েছি। পরিবার থেকে আমাদের জানিয়েছে, গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আমাদের তারা আর কিছু জানায়নি। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আমরা কারণ জানতে পারব।’
স্বর্ণার আত্মহত্যার খবরে তার সহপাঠীদের একটি দল ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা যাচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমাদের একজন শিক্ষার্থী এভাবে মারা গেল। কেউ এভাবে মারা যাক, আমরা তা কখনোই চাই না। আমরা খুবই মর্মাহত।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ক্রিস্টিন রিচার্ডসন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়েটি খুবই ভালো ছাত্রী ছিল। ক্লাসে খুবই মনোযোগী ছিল। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, প্রতিটি ক্লাসেই সে এটেন্ড করত। আমাদের বিভাগটি নতুন একটি বিভাগ। বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের একজন স্টুডেন্ট সে। বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা শোকাহত। আমরা কেউই এমন কিছু চিন্তাও করিনি।’