চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে এক যুবককে চেয়ারম্যানের লাঠিপেটা করার একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে।
উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চোর সন্দেহে ওই যুবককে পেটান ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ রানা টিপু। তবে ভিডিও ভাইরালের পর চেয়ারম্যান ওই যুবকের বাড়ি গিয়ে তার ভুল স্বীকার করেন।
যে যুবককে পেটানো হয় তার নাম শহিদুল ইসলাম। তিনি সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের হরিসপুর বিলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের ওমর আলী নামে একজন জানান, গত ১৭ অক্টোবর চরবাগডাঙ্গা বাজারে সাইকেল চুরির অভিযোগে শহিদুলকে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে তাকে সেখান থেকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান চেয়ারম্যান টিপু। এরপর সেখানে তাকে মারধর করে ছেড়ে দেয়া হয়।
শহিদুলের বড় ভাই সেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শুন্যাছি, সাইকেল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়্যাছিল শহিদুল। তাই চেয়ারম্যানে ম্যারাছে। তবে ম্যারাটা অতিরিক্ত হয়্যা গেছে।’
তিনি জানান, তিন ভাইয়ের মধ্যে শহিদুল সবার ছোট। প্রায় ১৫ বছর থেকে তার ভাই নেশা করেন। তাকে ভালো করার অনেক চেষ্টা করেছে পরিবার।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর চেয়ারম্যান শহীদ রানা টিপু বুধবার বিকেল ৪টার দিকে শহিদুলের বাড়িতে গিয়ে তার ভুল স্বীকার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহিদুলের ভাই সেরাজুল ইসলাম।
সেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘টিপু চেয়ারম্যান আসছিল। মেটমাট করে গ্যাছে।’
কেন মেরেছিল, কী বলেছেন চেয়ারম্যান, এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেরাজুল বলেন, ‘চেয়ারম্যান বলছে, ভ্যাগনা হিসেবে দুই বাড়ি (দুইটা চড়-থাপ্পড়) দিয়্যা ছ্যাড়া দিয়্যাছি। হামি (আমি) কি ভ্যাগনা হিসেবে দুবাড়ি দিতে পারি না।’
তবে চেয়ারম্যান শহীদ রানা টিপুর সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ রানা টিপু এক যুবককে মারাধর করার ভিডিও ফেসবুকে আমিও দেখেছি। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি।’